বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ফলাফল বিভ্রাটের কারণে এক হাজার ১৪১ জন শিক্ষার্থী ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছে। এদের সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে। এছাড়া তাদের মধ্যে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৭৯ জন শিক্ষার্থী। ফলাফল বিভ্রাটের কারণে আত্মহত্যা করতে হয়েছে এক শিক্ষার্থীকে। এ বিভ্রাটের পেছনে দায়ীদের চিহ্নিত করে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তদন্ত করে অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে বিচার করা হবে। এক্ষেত্রে কেউ কোনো ছাড় পাবে না। দায়ীদের বেতন বন্ধ করব, তারপরে চূড়ান্ত বিচারে চাকরি থাকবে কি থাকবে না তা ঠিক করা হবে।
তিনি বলেন, এর জন্য দায়ী হবেন পরীক্ষার খাতার সঙ্গে ফল মেলানোর জন্য যারা শিট দিয়েছেন তারা। অমনযোগী ছিলেন অথবা ভুল করেছেন অথবা তারা দায়সারা কাজ করেছেন।
বরিশাল বোর্ড থেকে এবার এসএসসিতে হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে ১০ হাজার ৪৯২ জন পরীক্ষা দেন। এদের মধ্যে ৫ হাজার ৮০৯ জন ফল পুনর্বিবেচনা ও যাচাইয়ের আবেদন করেন। গত ১৪ মে সংশোধিত ফলাফলে ১ হাজার ৯৯৪ জনের ফল পরিবর্তন হয়। তাদের মধ্যে ফেল থেকে পাস করেন এক হাজার ১৪১ জন; ৭৯ জন জিডিএ-৫ পান। ফেল করার খবর শুনে আত্মহত্যা করা সর্বজিৎ ঘোষ নামের এক শিক্ষার্থীও সংশোধিত ফলাফলে পাস করেন।