কাল থেকে সিম নিবন্ধনে লাগবে ১৫০-২০০ টাকা

Slider জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি

2016_04_26_21_07_16_t4eoJOP3t1VD40zsJr19dVlylAavcG_original

 

আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হচ্ছে আজ রাত ১২টায়। এ সময়ের মধ্যে যেসব সিম নিবন্ধিত হবে না, সেগুলো কাল থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। আর বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব সিম আবার চালু করতে চাইলে এখন থেকে একজন গ্রাহককে গুনতে হবে ১৫০-২০০ টাকা।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ে সিম নিবন্ধন না করার জরিমানা হিসেবে ব্যবহারকারীদের বাড়তি এ অর্থ দিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে আগের কঠোর অবস্থান কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। এত দিন বিটিআরসির সিদ্ধান্ত ছিল, আগামীকাল থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিমগুলো আগামী দুই মাস পর্যন্ত জব্দ (ফ্রিজ) অবস্থায় থাকবে। অর্থাৎ যে ব্যবহারকারী এত দিন সিমটি ব্যবহার করে এসেছেন, তিনি আগামী দুই মাস পর্যন্ত সেটি নিবন্ধনের মাধ্যমে চালু করার সুযোগ পাবেন না। দুই মাস সময় পার হওয়ার পর নির্ধারিত নিয়মে অর্থাৎ ১৫০-২০০ টাকা খরচ করে সিমটি আবার চালু করা যাবে—এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
তবে আগের নিয়ম থেকে সরে এসে বিটিআরসি বলছে, নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধন সম্পন্ন করে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিমটি আবার চালু করা যাবে। এ জন্য দুই মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। গতকাল সোমবার বিষয়টি মুঠোফোন অপারেটরদের জানিয়ে এ–সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
বিটিআরসির সচিব ও মুখপাত্র সরওয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্রাহক স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই সিম নিবন্ধনের সময়সীমা এক মাস বাড়ানো হয়েছিল। সময় বাড়ানোর পরও যাঁরা সিম পুনর্নিবন্ধন করেননি, তাঁদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করেই সিম চালু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিটিআরসির নির্ধারিত নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
বিটিআরসির নিয়ম অনুযায়ী, একটি সিম একটানা ১৮ মাস বা ৫৪০ দিন বন্ধ থাকলে সেটির মালিকানা গ্রাহকের থাকে না। এর মধ্যে ১৫ মাস বা ৪৫০ দিন সময় পার হলে মুঠোফোন অপারেটররা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিষ্ক্রিয় সংযোগটি পরের ৯০ দিনের মধ্যে চালু করার জন্য গ্রাহককে অনুরোধ করে। এভাবে মোট ১৮ মাস সময়ে সিমটি চালু করা না হলে সেটির মালিকানা বর্তমান ব্যবহারকারীর থাকে না। কাল থেকে বন্ধ হতে যাওয়া সংযোগের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
বর্তমানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নতুন সংযোগ কিনতে অপারেটর ভেদে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দাম রাখা হয়। এর মধ্যে সরকার সিম কর হিসেবে ১০০ টাকা পায়। বাকি অর্থ সিমের মূল্য হিসেবে অপারেটররা পেয়ে থাকে।
বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, গতকাল সোমবার পর্যন্ত ১০ কোটি ৪৮ লাখ ৬৫ হাজার সিম নিবন্ধিত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট চালু থাকা সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ। সে হিসেবে গতকাল পর্যন্ত চালু থাকা সিমের ৭৯ শতাংশ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *