ঢাকা : গত কালের মতো আজো (৩১ মে) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে খাবার বিতরণ শেষে ২২ ঘণ্টা পর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
এর আগে তিনি সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বের হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে খাবার বিতরণ করে বেলা ৩টায় কার্যালয়ে আসেন। এখানে তিনি কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর দুপুরের খাবার খান।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত আছেন, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস-চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, অর্থনীতিবিষয় সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গতকাল কক্ষে অবস্থানকালে কার্যালয়ের আট দশ জন স্টাফ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেসময় তারা নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে চেয়ারপারসনকে মাসে অন্তত দুই-তিনবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসার অনুরোধ জানান।
খালেদা জিয়া তখন বলেন, ‘আমিও এখানে নিয়মিত আসতে চাই। কিন্তু তীব্র যানজটের কারণে সময়মতো পৌঁছাতে পারব না বিধায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আসতে পারি না। তবে মাঝে মাঝে আসার চেষ্টা করব।’
সর্বশেষ গত পহেলা বৈশাখে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাসাসের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তবে তখন কার্যালয়ে তার কক্ষে যাননি। এর আগে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারির সমাবেশকে কেন্দ্র করে তার কক্ষটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছিল। কিন্তু ৩ জানুয়ারি রাতে গুলশান কার্যালয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পরে আর নয়াপল্টন কার্যালয়ে যেতে পারেননি তিনি।
তবে ২০১৩ সালের মার্চে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছিল পুলিশ। ভাঙচুর করা হয়েছিল কার্যালয়। এরপর কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি।
এরপর সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল ঢাকা (উত্তর-দক্ষিণ) সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রচারণাকালে বাংলামোটরে তার গাড়িবহরে হামলা হলে নয়াপল্টন কার্যালয়ে আশ্রয় নেন খালেদা জিয়া।