গ্রাম বাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমে দেশের শতভাগ মানুষকে সম্পদে পরিণত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ অপরিহার্য। একবিংশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তার সরকার দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষর ও জীবন দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি আধুনিক ও কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে ঝরে পড়ার হার ও বৈষম্য হ্রাস পেয়েছে। শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে বদ্ধপরিকর।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০১৪ উপলক্ষে দেয়া আজ এক বাণীতে এ বলেন।
বাণীতে তিনি বলেন, সবার জন্য শিক্ষা এবং সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার লক্ষ্যসমূহ অর্জনে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব পাঁচ বছর মেয়াদি গ্লোবাল এডুকেশন ফার্স্ট ইনিটিয়েটিভ চালু করেন। এ উদ্যোগের প্রেক্ষিতে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসঙ্ঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সারা বিশ্বের ১৪টি দেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,নারী শিক্ষায় বাংলাদেশের এ সাফল্য জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ইউনেস্কো সদরদপ্তর গার্লস এন্ড ওযামেন লিটারেসি এন্ড এডুকেশন : ফাউন্ডেশন ফর সাসটেইনবল ডেভোলাপমেন্ট শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করে। এতে ইউনেস্কো পদক বিতরণ করা হবে। আগামীকাল ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে ৩৬টি দেশের প্রতিনিধি সমন্বয়ে বাংলাদেশে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী বাণীতে উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, এ সম্মেলন অনুষ্ঠান ও দিবসটি উদ্যাপনের মাধ্যমে দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে আরো সচেতন করে তোলা সম্ভব হবে।
তিনি আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস- উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
সূত : বাসস।