গাজীপুর জেলা পরিক্রমা-৪; মাদক জুয়া আর নারী ব্যবসা জমজমাট

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ ফুলজান বিবির বাংলা বাধ ভাঙ্গা মত সারাদেশ

 

aaaaaa

 

 

এম আনোয়ার হোসেন/সমুদ্র হক, গাজীপুর থেকে ফিরে: পর্যটনের জন্য প্রসিদ্ধ ও অপক্ষোকৃত পাতল বসতির জেলা গাজীপুর। শিল্প প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকী এলাকা অনেকটাই ফাঁকা। এই ফাঁকা জায়গায় গড়েে উঠেছে অন্ধকার বাগান বাড়ি। ধনী মানুষদের বিলাসবহুল জীবন যাপনের মধ্যে গাজীপুরে একটি বাগান বাড়ি করা একটি বিলাসিতা। আর  এই বিলাসিতার আঁড়ালে চলছে দেহ ব্যবসা ও মাদকের ব্যবসা।

বাগানবাড়ি  ছাড়াও  গড়ে  উঠেছে অসংখ্য হোটেল রেস্তোরা। এই সকল হোটেল রেঁস্তোরায় অবাধে চলছে অবৈধ কাজ। সম্প্রতি গাজীপুরের গজারী বনে চলছে জুয়ার আসর। প্রতিরাতে গহীন অরণ্যে জলে উঠে বেশ কিছু বৈদ্যুতিক আলো। রাতে চলে উলঙ্গ নৃত্য আর জুয়া। সারাদেশ থেকে অসংখ্য নামী দামী মানুষ জুয়ার আসরে মেয়েদের নৃত্য দেখেন আর জুয়া খেলেন। ফলে সারারাত চলে লাখ লাখ টাকার জুয়া। টাকাগুলো ছেড়িয়ে ছিটিয়ে যায় প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা ,গনমাধ্যম কর্মী সহ বিভিন্ন্ সেক্টরে।

গাজীপুর জেলার শিল্প নগরী হিসেবে খ্যাত টঙ্গী, কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, কালিয়াকৈর, শ্রীপুর ও গাজীপুর সদর। এই সকল শিল্প এলাকায় লাখ লাখ লোকের বসবাস। এই অসংখ্য লোকের বসবাস হওয়ায় অপরাধও বেড়ে গেছে। নানা ধরণের অপরাধের সঙ্গে যোগ হয়েছে মাদক। মাদক সেবন ও মাদকের ব্যবসা এখন গাজীপুরে একটি অধিক লাভজনক ব্যবসা। সড়ক, রেল ও নদী পথে অবাধে আসছে মাদক। আর এই মাদকে সয়লাব হয়ে গেছে গাজীপুর।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মাদক ব্যবসার সঙ্গে পুলিশের যেমন গোপন সম্পর্ক আছে তেমনি কতপিয় তথাকথিত গনমাধ্যম কর্মীও মাদকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। উপরে ফিটফাট ভেতরে সদর ঘাট দেখানো ওই সকল হলুদ সাংবাদিকরা অসৎ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়ে যাওয়ায় প্রকৃত সাংবাদিকেরা বেকায়দায় পড়ে রয়েছেন।

সম্প্রতি গাজীপুর জেলায় গনমাধ্যম কর্মী হিসেবে পরিচিত অসংখ্য লোক জমি দখল, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসা, থানার দালালী ও গ্যাস ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন। অনেকে সাংবাদিকতাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে বৈধ ও অবৈধ ব্যবসায় জড়িয়ে গেছেন। অনেক সাংবাদিক গাজীপুরে দাপটের সঙ্গে রয়েছেন অথচ তাদের গ্রামের বাড়ির ঠিকানা এখনো প্রশাসনের অজানা। তারা আসলে কি করছেন তা অনেকের মনে প্রশ্ন জাগিয়েছে।

ফলে গাজীপুরের কতিপয় অপেশাদার সাংবাদিকেরা এখন সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গাটাকে নষ্ট করে দিচ্ছেন। আর সাংবাদিক ও পুলিশ মিলে দেদারছে চালাচ্ছে অবৈধ ব্যবসা।

চলবে–

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *