মেয়ের বাবা হওয়ার আনন্দে মন্ত্রিসভার সদস্যদের মিষ্টিমুখ করালেন রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী রসমালাই ও সন্দেশ খাইয়ে আপ্যায়িত করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা রেলমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, আপ্যায়নের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী রেলমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, আপনার মেয়ের নাম কি রেখেছেন? জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, সেটা আপনার জন্য রেখে দিয়েছি। প্রতি উত্তরে প্রধানমন্ত্রী সন্তানের নাম রাখা বাবা-মায়ের দায়িত্ব এ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, না, না, এটা মা-বাবার হক।
রেখে ফেলেন। এর আগে গত ২৮শে মে বেলা পৌনে তিনটার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে রেলমন্ত্রীর স্ত্রী হনুফা আক্তার রিক্তা কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। ওই দিন রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আল্লাহর রহমতে মেয়ে সন্তানের বাবা হয়েছি, সবার দোয়া চাই। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মিলাদ দিয়ে মেয়ের নাম রাখব। উল্লেখ্য, বিয়ের এক বছর সাত মাসের মাথায় কন্যা সন্তানের বাবা-মা হন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এবং তার স্ত্রী হনুফা আক্তার রিক্তা। এদিকে ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ৬৭ বছর বয়সে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গলাই ইউনিয়নের মীরাখলা গ্রামের ৩২ বছর বয়সী হনুফা আক্তারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
পাঁচ লাখ এক টাকা দেনমোহওে ৬৭ বছরে চিরকুমার থেকে মুজিবুল হকের বিয়ের বিষয়টি ওই সময় বেশ আলোচিত ছিল। আর গত রোববার তিনি কন্যাসন্তানের বাবা হলেন, তখন তাঁর বয়স প্রায় ৬৯ বছর। এর আগে চিরকুমারের তকমা লেগে যাওয়ার পর হঠাৎ করে বিয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মুজিবুল হকের ভাষ্য ছিল সোজাসাপটা। তিনি বলেছিলেন, দেখলাম মানুষের জীবনের শেষ বয়সে একজন সঙ্গী দরকার, যাতে পরবর্তী জীবনে নিঃসঙ্গ না থাকতে হয়।