এবার ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত

Slider শিক্ষা

 

2016_05_30_18_26_04_dYyCT3TEUo2rCD7Ht6KhlFtAQp7QyV_original

 

 

 

 

 

বগুড়া: দেশব্যাপী যখন নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক বরখাস্ত ও কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে, ঠিক তখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি করার অভিযোগে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কল্যাণী উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক বিপ্লব কুমারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ মে) দুপুরে কল্যাণী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এছাড়াও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, শিক্ষক প্রতিনিধি বাছির উদ্দিন ও আমিনুল ইসলাম মন্ডলকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, স্কুলের গণিত শিক্ষক বিপ্লব কুমার নিজের নামের পরিবর্তে কৃষ্ণ কুমার নাম দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি আইডি খুলেন। সম্প্রতি সেই আইডি ব্যবহার করে তিনি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেন।

রোববার একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র নাজমুল ইসলাম ও জোবায়ের আহমদের দৃষ্টিতে প্রথমে ঘটনাটি ধরা পড়ে। একপর্যায়ে ঘটনাটি স্থানীয় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে মুসলমানদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। সোমবার ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে কয়েকশ’ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হন এবং ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন। এমন পরিস্থিতিতে স্কুল পরিচালনা কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়।

কল্যাণী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুদেব কুমার পাল জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক বিপ্লব কুমারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

অভিযুক্ত শিক্ষক বিপ্লব কুমার পাল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। ঘটনাটি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আমার ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে অন্য কেউ এই কাজ করতে পারে। ’

প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি ও শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যান্দির পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে গণপিটুনি দেয়ার পর কান ধরে উঠবস করানো হয়। আর এ কাজে নারায়ণগঞ্জ-৪ (শহর ও বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান সরাসরি মদদ দেন বলে অভিযোগ ওঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *