জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতায় নূর ইসলাম (৩৮) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জামালপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো চারে।
নিহত ব্যক্তি ওই উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের কুতুবের চর গ্রামের কামাল্লা ফকিরের ছেলে।
নূর ইসলামের পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নৌকা প্রতীকে সিল মারাকে কেন্দ্র করে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো.শাকিরুজ্জামান রাখাল ও বিদ্রোহী প্রার্থী মো.শাজাহান মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নূর ইসলাম গুরুতর আহত হন। তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান। এখন লাশটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত নূর ইসলামের বড় ছেলে ময়নাল হক ফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাবা একজন কৃষক মানুষ। ওই কেন্দ্রে তিনি ভোট দিতে গিয়েছিলেন মাত্র। জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আমার বাবাকে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক মনে করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। প্রথমে গুরুতর অবস্থায় বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমার বাবা তো কোনো রাজনীতি করতেন না। তাহলে কেন আমার বাবাকে হত্যা করা হলো।’ এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তিনি।
দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, ‘ওই ব্যক্তির মৃত্যুর সংবাদটি আমার এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি।’ তবে মৃত্যু বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি জানান।