ইসরাইলের লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বৈঠক নিয়ে সরকার কি ব্যবস্থা নেয় বিএনপি তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। তিনি বলেছেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা বলেছেন মেন্দি সাফাদি নিজেই। একজন ব্যক্তির সঙ্গে বিএনপির কোন নেতা কথা বললে হয় রাষ্ট্রদ্রোহ, আর প্রধানমন্ত্রীর ছেলে কথা বললে হয় দেশপ্রেমিক। এই হচ্ছে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভোটারবিহীন সরকারের বিচার।
ইসরাইলি এই রাজনীতিবিদকে ঘিরে সরকার দুই ধরনের আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। আজ দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালায়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে সাক্ষাৎ হয়েছে বলে সাফাদি দাবি করেছেন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ দাবি করেন, সাফাদি-জয়ের বৈঠকের খবর বিএনপির সাজানো নাটক। হানিফের ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া রিজভী বলেন, জয়-সাফাদির বৈঠকের বিষয়টি গত তিনদিন ধরে গণমাধ্যম ও সামাজিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে।
তখন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এই বৈঠকের খবরকে নাটক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছেন। তার বেলায় হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, আর বিএনপির একজন নেতার ভারতে একজন নেতার দেখা হয়েছে, কুশলাদি বিনিময় হয়েছে- সেটি হয়ে যায় রাষ্ট্রদ্রোহ। একটি সরকার কত হীন হতে পারে, একটি সরকার কত ধরনের ষড়যন্ত্রকারী ও চক্রান্তকারী হতে পারে, সেটির দৃষ্টান্ত এই ঘটনা। আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, একজন নিরীহ মানুষকে মিথ্যা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আর যখন এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে থলের বিড়াল বের হয়ে গেল তখন নাটক বলে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে- এটা প্রহণযোগ্য হবে না। জনগণ তা বিশ্বাস করে না। সাফাদি-জয় বৈঠক নিয়ে সরকার কি ব্যবস্থা নেয় বিএনপি তা দেখার অপেক্ষায় জানিয়ে তিনি বলেন, সাফাদি মিথ্যা বলবেন আর জয় সাহেব সত্য কথা বলবেন, তা জনগণ বিশ্বাস করে না।
কারাবন্দি রাজশাহীর মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে কারাগারে আটক রাখার সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, বুলবুল উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের ‘অ্যাডভোকেটস অন রেকর্ড’ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়ে তার মুক্তির পথ রুদ্ধ করে রেখেছে। অনেক দিন ধরে বুলবুল সাহেব কারাগারে। উচ্চ আদালতে জামিন পেলেও মুক্তি পাচ্ছেন না। আমরা মনে করি, ওই চিঠি আইনের বরখেলাপ। এটি আদালত অবমাননার শামিল। বিচার বিভাগের যে স্বাধীনতা তার ওপর হস্তক্ষেপ করছেন সরকার। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, অর্থ সম্পাদক আবদুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।