আমরা যেন অচেনা না হই

Slider জাতীয় টপ নিউজ ফুলজান বিবির বাংলা বিচিত্র লাইফস্টাইল সম্পাদকীয়

10341554_1708588909360434_5316334110435057718_n

 

চারিদিকে হৈ চৈ। কারো কথা কেউ শুনেন না। চাহিদার চাপে নীতি নৈতিকতা ও কোনঠাসা। যার উপর যে দায়িত্ব তা যদি একান্তই নিজের  স্বার্থে না হয় তবে পালন হয় উল্টো। মানুষের মান ও মানবিকতা হ্রাস পাওয়ায় সামাজিক অধিকারগুলোও মুখ থুবরে পড়ছে। যারা প্রকৃত ভিক্ষুক তাদের ভিক্ষা না দেয়ায় ভিক্ষুকেরা প্রাতরণা করছেন। তাদের প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন যারা ভিক্ষক নয় তারাও।

সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ও বিবেকের তাড়নায় যে কাজ গুলো মানুষের করা উচিত তা এখন অনেকটাই হচ্ছ না। কারণ রাজনীতি আমাদের এমনভাবে আঁকড়ে ধরেছে যে, এখন বিয়ের অনুষ্ঠানে বা মৃত ব্যাক্তির জানাযার নামাজেও রাজনীতি হচ্ছে। অনুষ্ঠানগুলো নিজেদের না হলেও  ক্ষমতাসীন দলের লোকদের হাতে থাকছে বিয়ে, জন্মদিন বা মৃত্যুদিনের অনুষ্ঠান পরিচালনার ক্ষমতা। ফলে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গাটা সীমিত হয়ে আসছে। সামাজিক দায়বদ্ধতা,  রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার কাছে বিলিন হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। ফলে শ্রিষ্টাচার আর নৈতিক দায়বদ্ধতা এখন দিন দিন অনৈতিক হয়ে যাচ্ছে। এতে মানুষের পারষ্পরিক বন্ধন হালকা হচ্ছে। মানুষের মাঝে এই দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে নতুন নতুন অপরাধ। আমাদের নীতি নৈতিকতার অধ;পতন হওয়ার ফলে মা, বাবা, শিক্ষক, ছাত্র, ছাত্রী, রাজা, প্রজা, শাষক, সেবক পরস্পর পরস্পরকে খুন পর্যন্ত করছেন।

সময়ের কাছে পরাজিত হয়ে যাওয়ার কারণে আমরা পরস্পর কেমন জানি অচেনা হয়ে যাচ্ছি। ফলে আজ থেকে ১০ বছর আগের আমরা ও আজকের আমরা কত দূরত্বে অবস্থান করছি। এই দূরত্ব সহসাই কমবে এমন সম্ভাবনাও ক্ষীন। তবু আশাবাদী মানুষ আমরা। আশা প্রত্যাশা আর ভরসায় হাবুডুবু খেয়েই বেঁচে আছি। ফলে এখনো স্বপ্ন দেখি, আমরা যেন অচেনা হয়ে না যাই। এমন দিন যেন আসে যে, আমরা পরস্পর পরস্পরকে চিনতে সক্ষম হই।

ড. এ কে এম, রিপন আনসারী

এডিটর ইনচীফ

গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *