কক্সবাজার : কক্সবাজারের রামুতে ইউপি নির্বাচনে প্রচারণার শেষ দিনে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১২ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের নতুন বাজার সংলগ্ন মুড়াপাড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত রশিদনগরের কাহাতিয়া পাড়ার জাফর আলমের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২২) কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়া কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৮ জন এবং ঈদগাঁও ষ্টেশনের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে ৩ জনকে।
আহতরা হলেন, রশিদনগরের পানিরছড়া এলাকার বদির আহমদের ছেলে নজির আহমদ (২৮), মনির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রায়হান (১৯), ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ
ইসলামের ছেলে মনসুর আলম (১৬), ধলিরছড়ার মৃত জুলু মিয়ার ছেলে নুরুল আলম(৩২), ফরিদুল আলম ওরফে হাচ্চু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রকিম (২২), কাহাতিয়া
পাড়ার শের মোহাম্মদের ছেলে জাফর আলম (৫০), মকবুল আহমদের ছেলে জকির আলম(৩০), হামির পাড়ার আব্দুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ শেফায়েত (১৬)। তবে ঈদগাঁও ষ্টেশনের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি হওয়া আহতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রামু থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বাংলানিউজকে জানান, রশিদনগর ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী শনিবার। বৃহস্পতিবার ছিল ইউপি নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন। বিএনপির দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল করিম (ধানের শীষ) এবং বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের (ঘোড়া) প্রচারণা মিছিল মুখোমুখি হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে।
আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক এস বি শর্মা বাংলানিউজকে জানান, রামুতে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় আহত ৮ জনকে
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে একজনকে গুলিবিদ্ধ সন্দেহে এক্সের করা হচ্ছে। এছাড়া অন্যরা ধারালো অস্ত্র ও
লাঠিসোটার আঘাত পেয়েছেন। সংঘর্ষে আহত সাজ্জাদ হোসেনের চাচা ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা রবীন আলম বলেন, রশিদনগরের নতুন বাজার সংলগ্ন মুড়াপাড়ায় বিএনপির প্রার্থী আব্দুল
করিমের প্রচারণা মিছিল এবং বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের মিছিল মুখোমুখি পড়ে। এসময় কিছু বুঝে উঠার আগেই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে কথা বলতে প্রতিদ্বন্ধী দু’চেয়ারমান প্রার্থীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
ওসি প্রভাষ জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়