ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের হাতে এসেছে। এতে কয়েকটি সুপারিশও রয়েছে। আগামী রোববার প্রতিবেদনটি আদালতে জমা দেওয়া হবে।’
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গত ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে একদল লোক মারধর করে। পরে স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে তাকে কান ধরিয়ে উঠবস করানো হয়।
এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে উঠে সমালোচনার ঝড়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিজের কান ধরার ছবি দিয়ে শুরু হয় অভিনব প্রতিবাদ ‘সরি স্যার’। এ ঘটনার জের ধরে গত ১৭ মে শ্যামল কান্তি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির দেয়া তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা সংক্রান্ত চিঠি হাতে পান।
এদিকে সরকারি তদন্ত কমিটি শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় অবমাননার’ অভিযোগ বিষয়ে প্রমাণ না পাওয়ায় গত ১৯ মে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটি অন্যায়ভাবে শ্যামল কান্তিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। তাই ওই কমিটি বাতিল করা হয়েছে।’ আর শ্যামল কান্তিকে তার স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এরপর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ে শ্যামল কান্তির পরিবার। পরে স্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।