ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত ১০১, দাবি সুজনের

Slider জাতীয়

U.p-150x150

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রথম চার ধাপে এখন পর্যন্ত নির্বাচনী সহিংসতায় ১০১ জন নিহত হয়েছে। বাংলাদেশে অতীতের যেকোনো ইউপি নির্বাচনের চেয়ে এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।

সুজনের দাবি, এর আগে ১৯৮৮ সালের নির্বাচন সবচেয়ে বেশি সহিংসতাপূর্ণ ও প্রাণঘাতী ছিল। ওই নির্বাচনে ৮০ জনের প্রাণহানি হয়। ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইউপি নির্বাচনে ১০ জনের প্রাণহানি হয়। ২০০৩ সালে বিএনপি সরকারের আমলে ২৩ জন মারা যায়।

সুজন বলছে, এইবারের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত যে ১০১ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে নির্বাচনপূর্ব সংঘর্ষে ৪৫ জন, ভোটের দিন সংঘর্ষে ৩৬ জন এবং ভোটের পর সংঘর্ষে ২০ জন মারা গেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থক ৪০ জন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক ১২ জন, বিএনপির দুজন, জাতীয় পার্টির (জেপি) একজন, জনসংহতি সমিতির একজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী দুজন নিহত হয়েছেন। বাকিদের মধ্যে সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক ৩১ জন, ১২ জন সাধারণ মানুষ। নিহতদের মধ্যে চারজন নারী ও তিনটি শিশু, একজন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং তিনজন মেম্বর প্রার্থী ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের ২১১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপি ৫৫৪ ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী দিতে পারেনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *