ছোট্ট একটা খাবার দোকানে ছোট্ট টেবিল আর বসার জন্য প্লাস্টিকের সস্তা টুল। সেই টেবিলে রাখা ঠান্ডা বিয়ার, রাইস নুডলসসহ কিছু খাবার। সস্তায় দুপুরের খাবার সেরে ফেলার জন্য বেশ উপযুক্ত আয়োজন। বহু সাধারণ মানুষ এভাবেই দুপুরের খাবার সারেন। তবে এমন আয়োজনে যদি বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপ্রধান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দুপুরের খাবার সারেন, তবে তো একটু নড়েচড়ে বসতেই হয়! ওয়াশিংটন পোস্ট জানাচ্ছে, ভিয়েতনাম সফরে গিয়ে গত সোমবার এমনটা ঘটিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দুপুরের খাবারের সঙ্গী হয়েছিলেন তারকা শেফ ও উপস্থাপক অ্যান্থনি বুর্দেইন। এই দুজনের খাওয়ার চিত্র সিএনএনের ভ্রমণ ও খাবারসংক্রান্ত অনুষ্ঠান ‘পার্টস আননোন’-এ প্রচারের জন্য রেকর্ড করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ও উপস্থাপক খাবার টেবিলে বান, চা আর বিয়ার নিয়ে কথা বলেন। এ বছরের সেপ্টেম্বরে এটি প্রচার করা হতে পারে। তবে তারকা শেফ অ্যান্থনি বুর্দেইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর খাওয়ার ছবি পোস্ট করেছেন। লিখেছেন, বান চাসহ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দুপুরের খাবারের খরচ মাত্র ছয় ডলার।
মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। লাখ লাখ মা বোনের উজ্জ্বত আর প্রাণের বিনিময়ে আজ আমরা নি;শ্বাষ নিতে পারছি। পেয়েছি বাংলাদেশ। তাই আজ রাজনীতি করছি, দেশ শাষন করছি। বিশ্বের উন্নত ও শক্তিশালী রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মহাশক্তিশালী। কিন্তু মহাশক্তিশালী হলেও তিনি একজন সাধারণ মানুষের মত একটি ছোট হোটেলে খাবার সারলেন। খবরটি বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে নতুন ভাবে। একটি দেশ উন্নত হলে যে দেশের শাষকদের সেবক হতে হয় তার উজ্জ্বল উদাহরণ বারাক হোসেন ওবামা। বারাক ওবামাকে সেলুট।
কিন্তু দু:খ রয়ে গেল, আমার দেশ এমন একজন শাসক পেল না যিনি শাষক না হয়ে সেবক হতে পারেন। এই আশা কোন দিন পূরণ হবে এমন আশাও করা কষ্ট হচ্ছে। তবুও আশাহীন মানুষ মৃত হওয়ায় আশা করা যেতেই পারে।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম