তিনি বলেছেন, ‘মুসলিম বিশ্বের প্রধান শত্রু ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবরকমের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে চায়। তাই দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও মুসলিম সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন নামতে হবে।’
বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে প্রেসব্রিফিংয়ে হানিফ এ কথা বলেন।
আগামী ১০-১১ জুলাই অনুষ্ঠেয় দলের ২০তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত অর্থ উপ-পরিষদের সঙ্গে অন্যান্য উপ-পরিষদের মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
‘আওয়ামী লীগ সুবিধা অনুযায়ী ধর্মের কথা বলে ধর্মের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করছে না’- বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এমন অভিযোগের জবাবে হানিফ বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। বিএনপি নানা সময় নানা মিথ্যাচার করে। এসব মিথ্যাচারের মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘দলের জাতীয় সম্মেলন সফল করতে সব উপ-পরিষদের কাজ ৬০-৭০ ভাগ শেষ হয়েছে। আশা করি নির্ধারিত সময়ের আগেই সব সাব কমিটির দায়িত্ব যথাযথভাবে শেষ করতে পারবো।’
জাতীয় কাউন্সিল সফল করতে কী পরিমাণ বাজেট বরাদ্দ থাকতে পারে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, বাজেট নিয়ে এখনো আমরা কোনো আলোচনা করিনি।
এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও অর্থ উপ-পরিষদের আহ্বায়ক কাজী জাফর উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে হানিফ ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন এইচ টি ইমাম, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, লে, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।