ঢাকা: দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের জন্য ড. ইউনূসকে নোবেল দেয়া হয়েছে। তিনি শান্তির জন্য কী করেছেন? বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যদি কেউ নোবেল পুরস্কারের যোগ্য হন, তারা হচ্ছেন শেখ হাসিনা ও সন্তু লারমা।
শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির ৬নং গ্যালারিতে এক আলোচনা সভায় এমন দাবি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
‘রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম ও বিশ্বে আজ ধ্রুবতারা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের সপ্তাহব্যাপী সংবাদচিত্র প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী যুবলীগ।
অনুষ্ঠানে মাহবুবে আলম বলেন, দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঘটিয়ে তারা (শেখ হাসিনা ও সন্তু লারমা) দেশের তিন পার্বত্য জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছেন। তারা যদি নোবেল পুরস্কার না পান, তাহলে তাদের এ অবদান কোনো অবস্থায় খাটো হয়ে যাবে না।
যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও বঙ্গবন্ধুর বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কতিপয় বিচারক এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তাদের এমন আচরণে বিচার ব্যবস্থা কলঙ্কিত হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন না করলে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ঘৃণ্য ঘাতকদের বিচার হতো না। তিনি এই বিচার করে বিচাররিক প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করেছেন, জাতিকে করেছেন কলঙ্কমুক্ত।
যুবলীগের সমালোচনা করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এতো যুবক সেদিন কই ছিল যখন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল? সেই নির্মম হত্যার পরে যদি কোনো যুবক বিচার চেয়ে রাজপথে নেমে প্রাণ দিতো তবে তাদেরকে আমরা জাতীয় বীর বলে সম্মানিত করতে পারতাম। সেটা করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।
যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর প্রমুখ।