ওজন: অতিরিক্ত ওজনের কারণে একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই ওজন কমালে অনেক শারীরিক সমস্যার হাত থেকেই রেহাই মিলতে পারে। উচ্চ রক্তচাপও তার ব্যতিক্রম নয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই ওজন কমান। বিশেষ করে ঝরিয়ে ফেলুন ভুঁড়ি।
ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সপ্তাহে তিন দিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূরে রাখতে পারবেন।
ডায়েট: সঠিক ডায়েট মেনে চললেই অর্ধের শারীরিক সমস্যার সমাধান করা যায়। পটাশিয়াম যুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
সোডিয়াম: খাবারে নুন বা সোডিয়ামের পরিমাণ সামান্য কমালেও তা রক্তচাপের ওপর প্রভাব ফেলে। তাই রক্তচাপ বাড়া পর্যন্ত অপেক্ষা না করে এখনই অতিরিক্ত নুন খাওয়ায় রাশ টানুন। এতে শরীর অনেক সুস্থ থাকবে।
অ্যালকোহল: পরিমিত পরিমাণ অ্যালকোহল যেমন রক্তচাপ কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, তেমনই অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালকোহল রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই যদি আপনার মদ্যপানের অভ্যাস থাকে তা হলে তার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
ধূমপান: প্রতিটা সিগারেট শেষ করার পর বেশ কিছু ক্ষণ আমাদের রক্তচাপ বেড়ে যায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ধূমপান ত্যাগ করতে পারেন।
ক্যাফেইন: ক্যাফেইন রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। কফি খাওয়ার পর রক্তচাপ মাপলে দেখতে পাবেন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি আসবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাফেইনের মাত্রা কমান।
স্ট্রেস: উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ ক্রনিক স্ট্রেস। যদি পারিবারিক, পেশাগত বা আর্থিক স্ট্রেস মাথায় চেপে বসে তাহলে অবশ্যই সতর্ক থাকুন। চেষ্টা করুন স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখার।
নিয়মিত চেক আপ: যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে তা হলে বাড়িতেই রক্তচাপ মাপার যন্ত্র কিনে রাখুন। নিয়মিত মনিটর করুন রক্তচাপ। যদি সমস্যা না থাকে তাহলে প্রতি ৬ মাস থেকে এক বছর অন্তর চিকিত্সকের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিন।
পরিবার: সুস্থ থাকার জন্য পারিবারিক সম্পর্কগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ পারিবারিক সম্পর্ক আমাদের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। স্ট্রেস দূরে রাখে। ফলে চিকিত্সকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনও অনেক কমে যায়।