গ্রাম বাংলা ডেস্ক: রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির কাউন্সিল অধিবেশনে পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের উপস্থিতিতে নেতাকর্মীদের মধ্যে হাঙ্গামার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে নগরীর বর্ণালী মোড়ের ডেসটিনি মাঠ দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দীন মারধরের শিকার হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মঞ্চে উপস্থিত প্রধান অতিথি এরশাদ জাতীয় পার্টির নেতা বাচ্চুর হাত থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন। পরে জাপা চেয়ারম্যান কমিটি গঠন স্থগিত রেখে ঢাকায় গিয়ে কমিটির ঘোষণা দিবেন বলে জানিয়েছেন।
সূত্র আরো জানায়, জাতীয় পার্টির কাউন্সিলকে ঘিরে সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন ও যুগ্ম আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এতে পার্টির মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। কিন্তু এ বিশৃঙ্খলার মধ্যেও সোমবার কাউন্সিল অধিবেশন করেন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন। তার কাউন্সিল ভন্ডুল করতে যুগ্ম আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন তার অনুসারী ১১১ জন নেতাকর্মীকে নিয়ে রোববার পদত্যাগ ঘোষণা করেও মঞ্চে উপস্থিত হন। এসময় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দীনের বক্তব্যের পরেই উপস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান ডালিম জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দীন বাচ্চুর নাম ঘোষণা করেন। বাচ্চু ডায়াসে ওঠে বক্তব্য দেয়ার আগেই শাহাবুদ্দীনকে ধাক্কা দেন এবং বক্তব্য শুরু করেন। এসময় মঞ্চে থাকা অন্যান্য নেতাকর্মীরা শাহাবুদ্দীনের ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করলে হাঙ্গামা বেধে যায়। একপর্যায়ে চিত্র ধারণ করতে ফটোসাংবাদিকরা এগিয়ে গেলে নেতাকর্মীরা মঞ্চ থেকে তাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এতে প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক দুখু মঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে আঘাত পান। এ প্রসঙ্গে জেলা জাতীয় পার্টির প্রচার সম্পাদক সরদার জুয়েল জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাওয়ার কোন নির্দেশনা নাই। কিন্তু শাহাবুদ্দীন বিএনপির এজেন্ডা অনুযায়ী বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য দেয়ার পরই তাকে পার্টির কিছু নেতাকর্মী মারধর করেন।