ফেরদৌসের জামিন চেয়ে সোমবার তার আইনজীবী সাইদুর রহমান মানিক ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে আবদেন করলে শুনানি শেষে বিচারক আমিরুল হায়দার চৌধুরী আবেদনটি নাকচ করেন।
ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গত ৩ মে রাজধানীর কলাবাগান থানায় আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় ওইদিনই ভোররাতে রাজধানীর ইস্কাটনের বাসায় অভিযান চালিয়ে ফেরদৌসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এক পর্যায়ে আসামি ফেরদৌস গত ৭ মে ঢাকার মহানগর হাকিম কাজী কামরুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তবে সোমবার আদালতে ফেরদৌস ওই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহার চান।
ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর প্রথমে শিক্ষক ফেরদৌসকে সাময়িক বরখাস্ত করে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর গত ৯ মে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে চাকরিচ্যুতির আদেশ কার্যকর হয় ৪ মে থেকে।