হিন্দুধর্ম বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ার খবর জেনে সাততলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যাকারী সর্বজিৎ ঘোষ হৃদয় বোর্ডের সংশোধনী ফলে জিপিএ ৪ দশমিক ৬৭ পেয়ে এসএসসি পাস করেছে। বরিশাল শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ হিন্দুধর্ম বিষয়ে সংশোধিত ফল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রকাশ করে। ওই ফলে সর্বজিৎ ঘোষ হৃদয় কৃতকার্য হয়।
গত বুধবার প্রকাশিত প্রথম ফলে হৃদয় ঘোষের মতো হিন্দুধর্ম বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়াদের সংখ্যা ছিল এক হাজার ১৪১। আত্মহননকারী হৃদয় নগরীর কাঠপট্টি রোডের বাসিন্দা শেখর ঘোষের বড় ছেলে। সংশোধিত ফলে সর্বজিৎ কৃতকার্য হয়েছে জেনে তার বাবা-মাসহ স্বজনরা গভীর শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন।
পত্রিকায় খবর এসেছে, রোববার দুপুর ১২টায় শেখর ঘোষের বাসায় গিয়ে শোকবিহ্বল পরিস্থিতি দেখা গেছে। সান্ত্বনা জানাতে আসছেন প্রতিবেশীসহ শুভাকাঙ্খীরা। সন্তানের মৃত্যুর পর থেকে পিতা শেখর ঘোষ শয্যাশায়ী। তিনি কারও সঙ্গে দেখা করছেন না। স্বজনরা জানান, বাবা শেখর ঘোষ ও মা শিলা ঘোষের আহাজারিতে গোটা কাঠপট্টি সড়ক এখন শোকে মুহ্যমান। দুই ভাইয়ের মধ্যে সর্বজিৎ ছিল বড়। ছোট ভাই শুভজিৎ সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় হিন্দু ধর্ম বিষয়ে কম্পিউটারে নৈমিত্তিক উত্তরপত্র সেটিংয়ে ভুল থাকায় গত বুধবার প্রকাশিত ফলে ওই বিষয়ে সহস্রাধিক পরীক্ষার্থীকে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছিল। নগরীর উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র সর্বজিৎ ঘোষ অকৃতকার্য হয়েছে জেনে বাসার অদূরে নির্মাণাধীন সাততলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে।
প্রত্যাশা থাকবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন এমন ভুল না করেন যে মৃত্যুর সুফল পেতে হয়।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম-