কুষ্টিয়া প্রতিনিধি; কুষ্টিয়ায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক খণ্ডকালীন শিক্ষিকাকে (২৫) ধর্ষণ করেছে একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম।
এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে পলাতক সেই শিক্ষক। নির্যাতিত শিক্ষিকা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন খ্রিস্টান ধর্মীয় শিক্ষিকা তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলামের সঙ্গে কুষ্টিয়া আসেন। কুষ্টিয়া শহরের আল-আমিন হোটেলে পাশাপাশি দুই রুমে রাতযাপন করেন। পরদিন শুক্রবার ভোরে প্রধান শিক্ষক প্রশ্নপত্র দেওয়ার নাম করে দরজা খুলতে বললে ওই নারী দরজা খুলে দেন। এ সময় প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম তাকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ওষুধ কোম্পানির এক প্রতিনিধির সাহায্যে ওই নারীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যান প্রধান শিক্ষক। পরে অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষে হাসপাতালের এক সেবিকা ওই শিক্ষিকাকে হুমকি-ধমকি দিলে হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। পরে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে ওই শিক্ষিকাকে পুলিশের সাহায্যে ফের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে ওই নির্যাতিত শিক্ষিকাকে দেখতে যান জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যে শিক্ষক এ কাজ করেছে সে শিক্ষক নামের কলঙ্ক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে তাকে। শিক্ষককে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তরুণ কান্তি ঘোষ জানান, ওই নারীর রক্তক্ষরণের আলামত পাওয়া গেছে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল এলেই জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।