ঢাকা : গত দুই বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক ও সিরিয়া থেকে পালিয়ে যে লাখ লাখ শরণার্থী ইউরোপে প্রবেশ করেছে তাদের সবচেয়ে বড় অংশটাই প্রবেশ করেছে জার্মানিতে। চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল যতই দেশের মানুষকে সহিষ্ণু আচরণ করতে বলুক না কেন, নতুন এক জরিপে দেখা গেছে ইসলাম সম্পর্কে অধিকাংশ জার্মানের ধারণাই নেতিবাচক।
নতুন জরিপ মতে, প্রায় দুই তৃতীয়াংশ জার্মান মনে করে, তাদের দেশের ইসলামের জায়গা হওয়া উচিৎ নয়। ৬ বছর আগে একই ধরনের আরেকটি জরিপ হয়েছিল। সেই জরিপে দেখা গেছে, অর্ধেকের কম (৪৭ শতাংশ) জার্মান মনে করতো তাদের জাতিতে ইসলামের কোন জায়গা নেই। কিন্তু এবারের জরিপে সেই ধারণা পোষণকারী মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশ।
আঙ্গেলা মেরকেল যদিও মনে করেন ইসলাম জার্মান জাতির একটি অংশ, কিন্তু খোদ জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে এবং প্রকাশ্যে দাবি করে যে, জার্মানিতে কিছুতেই ইসলামের ঠাঁই হওয়া উচিৎ না।
অধিকাংশ জার্মান যে ইসলাম বিরোধী ধারণা পোষণ করে তার প্রমাণ পাওয়া যায় শরণার্থীদের প্রতি তাদের কিছু আচরণে। গত বছর শরণার্থী শিবিরে উপর প্রায় এক হাজার হামলা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় যেটা এর আগের বছরের তুলনায় ৫ গুণ বেশি।
তাছাড়া জার্মানির রাজনৈতিক দলগুলোও ইসলাম বিরোধী প্রচারণা করে প্রকাশ্যে, বিশেষ করে এএফডি পার্টি। প্রায় ৫২ শতাংশ জার্মান জার্মানিতে ইসলামের প্রসার নিয়ে চিন্তিত এবং ৭২ শতাংশ মনে করে ইসলামী জঙ্গিরা যে কোন সময় জার্মানিতে হামলা চালাবে।