সিরিয়ার হাসপাতালে ইসলামিক স্টেট জঙ্গীদের হামলায় সরকারি বাহিনীর অন্তত ২০ জন সদস্য নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন খবরে জানা যাচ্ছে।
সিরিয় একটি মানবাধিকার সংস্থা জানাচ্ছে হামলার পর হাসপাতালের কর্মচারীদের জিম্মিও করেছে আইএস জঙ্গীরা।
মানবাধিকার কর্মীরা জানাচ্ছে, আইএস জঙ্গীরা দেইর আল জৌরে অবস্থিত আল-আসাদ হাসপাতালে হামলা চালালে সেখানকার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সরকারি বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
আইএস জঙ্গীরা হাসপাতালটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং হাসপাতালের কর্মচারীদেরও জিম্মি করেছে জঙ্গীরা।
এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন সরকারী বাহিনীর সদস্য নিহত হয়।
দেইর আল জৌরের অর্ধেকেরও বেশি এলাকা আইএসের দখলে, কিন্তু তারা চাচ্ছে পুরোটার দখল নিয়ে নিতে।
এদিকে লেবাননের শিয়া সশস্ত্র সংগঠন হেজবুল্লাহর শীর্ষস্থানীয় সামরিক কমান্ডার মুস্তাফা আমিনি বদরেদ্দিন হত্যার ঘটনায় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরোধী সুন্নি বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে সংগঠনটি।
বদরেদ্দিন সিরীয় বিদ্রোহীদের গোলাবর্ষণে দামেস্ক বিমানবন্দরের কাছে নিহত হয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়-“তদন্তে দেখা গেছে বিস্ফোরণটি, যা আমাদের দামেস্ক বিমানবন্দরের কাছে একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ঘটানো হয়েছিল এবং যার কারণে কমান্ডার মুস্তাফা বদরেদ্দিন শহীদ হয়েছেন, ওই এলাকার তাকফিরি গোষ্ঠীর গোলাবর্ষণের কারণে ঘটেছে”।
‘তাকফিরি’ বলতে সশস্ত্র সুন্নি ইসলামপন্থি গোষ্ঠীকে বুঝানো হচ্ছে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থনে হাজার হাজার যোদ্ধা পাঠিয়েছে হেজবুল্লাহ।
মুস্তাফা বদরেদ্দিনকে ২০১১ সালে সিরিয়ার হেজবুল্লাহর সামরিক প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
বিবিসির আরব সংবাদদাতা জানাচ্ছেন বদরেদ্দিনের মৃত্যুকে ঘিরে এখনও নানা প্রশ্ন উঠছে।