ইটনায় কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় পিতা-পুত্রসহ তিনজন নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর শনিবার সকালে দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। সকালে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করার পর পরই সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থল উপজেলার কাটিয়ারকান্দা গ্রামের সামনের হাওর থেকে নিখোঁজ হযরত আলীর শিশুপুত্র ওয়েজ আলী (৮)-র ভাসমান লাশ এলাকাবাসী উদ্ধার করে। অন্যদিকে উদ্ধার তৎরতার একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাওরের বিস্তৃত জলরাশিতে জাল ফেলে নিখোঁজ হযরত আলীর দাদি হাজেরা বেগম (৭০) এর লাশ উদ্ধার করা হয়।
তবে হযরত আলীর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। শুক্রবার বিকাল তিনটার দিকে এই নৌকাডুবির ঘটনায় উপজেলার প্রজারকান্দা গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে হযরত আলী (৩৫), হযরত আলীর শিশুপুত্র ওয়েজ আলী ও হযরত আলীর দাদি মৃত মুনসুর আলীর স্ত্রী হাজেরা বেগম নিখোঁজ হয়। স্থানীয়রা জানান, হাজেরা বেগম দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইজড অবস্থায় ছিলেন। তাকে কবিরাজ দেখানোর জন্যে তার ছেলে লোকমান মিয়াসহ স্বজনেরা শুক্রবার সকালে একটি ইঞ্জিনচালিত ছোট নৌকায় করে ডুইয়ারপাড় গ্রামে নিয়ে যায়।
সেখান থেকে বাড়িতে ফেরার পথে বিকাল তিনটার দিকে ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি কাটিয়ারকান্দা গ্রামের সামনের হাওরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এতে নৌকাটিতে থাকা পাঁচ যাত্রীর সবাই পানিতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে লোকমান মিয়া ও তার শাশুড়ি রব্বানী বেগমকে উদ্ধার করে। কিন্তু লোকমানের মা হাজেরা বেগম, ভাতিজা হযরত আলী ও হযরত আলীর শিশুপুত্র ওয়েজ আলীর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাদের সন্ধানে এলাকাবাসী শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চালায়। পরে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তারা শিশু ওয়েজ আলী ও সাড়ে ১০টার দিকে হাজেরা বেগমের লাশ উদ্ধার করে।