ঢাকা: বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ১১৬ বছর বয়সী নারী সুজানা মুসহাত জোন্স মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরে অসুখে ভোগার পর বৃহস্পতিবার (১৩ মে) রাতে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই আফ্রো-আমেরিকান।
স্থানীয় বার্ধক্যবিদ্যা গবেষণা বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কন্সালট্যান্ট রবার্ট ইয়াং বলেন, গত তিন দশক ধরে সুজানা ব্রুকলিনে বসবাস করে আসছিলেন।
গত ১০ দিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যয় ভুগে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ১৮৯৯ সালে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ আলাবামা অঙ্গরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন সুজানা।
আলবামার মন্টোগমারি শহরে জন্ম নেওয়া সুজানারা ১১ ভাই-বোন ছিলেন। ১৯২২ সালে গ্রাজুয়েট হন তিনি।
‘জোন্স শিশুদের অতি ভালোবাসেন,’ ২০১৫ সালে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তার স্বজন লুইস জজ। বিয়ে করলেও তার কোনো সন্তান ছিলো না।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সুজানা পরিবারের সদস্যদের অতি ভালোবাসতেন এবং সবার জন্য তাজা সবজি ও ফল সংগ্রহ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন তিনি।
নিউইয়র্কে স্থায়ী হওয়ার পর জোন্স আফ্রো-আমেরিকান তরুণীদের উচ্চ শিক্ষার্থে স্কলারশিপ ও ফান্ড সংগ্রহে কাজ করেন।
গিনেজ ওয়ার্ল্ড বুকের রেকর্ড অনুযায়ী ১১৭ বছর বয়সী জাপানের মিসাও ওকাউয়ার মৃত্যু গত বছর থেকে জোন্সই সবচেয়ে বেশি বয়সের মানুষের রেকর্ড গড়েন।
বিশ্বের বয়স্ক জীবিত মানুষের তথ্য তত্ত্বাবধায়ক ইউং সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘উনিশ শতক থেকে অতি সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত জোন্স ছিলেন আমেরিকার সবচেয়ে বয়স্ক নাগরিক।’
‘১১৬ বছর বয়সী ইতালির বারবানিয়ার ইম্মা মরানো জোন্সের থেকে কয়েকমাসের ছোট, তিনি আন-অফিসিয়ালি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ত ব্যক্তি।