মঙ্গলবার রাতে একাত্তরে আলবদর বাহিনীর প্রধান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরদিন বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনায় পাকিস্তান গভীরভাবে হতাশ।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদে এর আগেও ধৃষ্টতাপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে পাকিস্তান।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয় গত বছরের নভেম্বরে।
ওই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ঘটনায় পাকিস্তান শঙ্কিত।
বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে নিজামীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলা হয়, তার একমাত্র পাপ হলো- পাকিস্তানের সংবিধান ও আইনের পক্ষালবম্বী হওয়া।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে পাকিস্তানের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ত্রুটিপূর্ণ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের নেতাদের হত্যার মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমন করা গণতন্ত্র বিরোধী।
এতে আরও বলা হয়, যেসব মানুষ নিজামীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছিলেন তাদের জন্য এই মৃত্যুদণ্ড দুর্ভাগ্যজনক।