সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত অভিন্ন অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত
মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট। গতকাল সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে দীর্ঘ দু’ঘণ্টার বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকা সফরকালে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল ও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার বৈঠকের সূত্র ধরে রাষ্ট্রদূতের কাছে এক সাংবাদিক জানতে চেয়েছিলেন বিভিন্ন ইস্যুতে ওয়াশিংটন ও দিল্লির অবস্থান অভিন্ন কিনা? জবাবে রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট তার দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন। বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সব ইস্যুতে পুরোপুরি একমত কিনা? যদি আমার কাছে এমন প্রশ্ন করা হয় তাহলে আমার জবাব হবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতীয় মিডিয়ার প্রতি নজর রাখলেই এটি যে কেউ বুঝতে পারবেন। তবে বাংলাদেশ, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ৩ সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়ছে। এখানে আমরা অভিন্ন অবস্থানে রয়েছি। আমরা ৩ রাষ্ট্র এ বিষয়ে একসঙ্গে আছি। পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে তার দীর্ঘ আলোচনার বিষয়ে বার্নিকাট বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থা মোকাবিলায় ঢাকা-ওয়াশিংটন অংশীদারিত্ব রয়েছে। নিশা বিসওয়ালের আলোচনা এগিয়ে নিতে আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সিপাল ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি উইলিয়াম টড ঢাকা আসছেন। তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার বিষয় দেখভাল করেন। তিনি এখানে একটি ডেলিগেশন নিয়ে আসবেন। সন্ত্রাস ও উগ্রপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে আরো বিস্তৃত আলোচনা এবং একটি কর্মপরিকল্পনা দরকার উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, টড ও তার সফরসঙ্গীরা এ নিয়ে ঢাকার সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। নিশার ঢাকা সফরকালে ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক সংক্রান্ত মিডিয়া রিপোর্টের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নিয়ে নিশা ও সিংলার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত প্রায় অভিন্ন অবস্থানে রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে মিডিয়া রিপোর্টে। জবাবে রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট বলেন, নিশা বিসওয়াল দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করেন। ঢাকায় আজারবাইজানের কোনো প্রতিনিধি থাকলে তার সঙ্গেও আলোচনা হতে পারতো। এবার ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে স্বীকার করে বার্নিকাট বলেন, যতদূর জানি তাদের আগে দেখা হয়নি, এবারে তাদের সাক্ষাতের একটি সুযোগ ছিল। তাদের আলোচনায় নিরাপত্তা প্রসঙ্গ বা নিরাপত্তা উদ্বেগ ছিল কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে বার্নিকাট সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, যে কোনো গণতান্ত্রিক দেশ বা গণতন্ত্র নেই এমন অনেক দেশও নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের বিষয়গুলোতে একই দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। কেননা, যখন নৈরাজ্য বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তখন ক্রমেই খারাপ ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশের সঙ্গে কাজ করে তারা প্রত্যেকে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এটি নিশ্চিত করার জন্যই কাজ করি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট। গতকাল সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে দীর্ঘ দু’ঘণ্টার বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকা সফরকালে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল ও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার বৈঠকের সূত্র ধরে রাষ্ট্রদূতের কাছে এক সাংবাদিক জানতে চেয়েছিলেন বিভিন্ন ইস্যুতে ওয়াশিংটন ও দিল্লির অবস্থান অভিন্ন কিনা? জবাবে রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট তার দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন। বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সব ইস্যুতে পুরোপুরি একমত কিনা? যদি আমার কাছে এমন প্রশ্ন করা হয় তাহলে আমার জবাব হবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতীয় মিডিয়ার প্রতি নজর রাখলেই এটি যে কেউ বুঝতে পারবেন। তবে বাংলাদেশ, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ৩ সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়ছে। এখানে আমরা অভিন্ন অবস্থানে রয়েছি। আমরা ৩ রাষ্ট্র এ বিষয়ে একসঙ্গে আছি। পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে তার দীর্ঘ আলোচনার বিষয়ে বার্নিকাট বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থা মোকাবিলায় ঢাকা-ওয়াশিংটন অংশীদারিত্ব রয়েছে। নিশা বিসওয়ালের আলোচনা এগিয়ে নিতে আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সিপাল ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি উইলিয়াম টড ঢাকা আসছেন। তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার বিষয় দেখভাল করেন। তিনি এখানে একটি ডেলিগেশন নিয়ে আসবেন। সন্ত্রাস ও উগ্রপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে আরো বিস্তৃত আলোচনা এবং একটি কর্মপরিকল্পনা দরকার উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, টড ও তার সফরসঙ্গীরা এ নিয়ে ঢাকার সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। নিশার ঢাকা সফরকালে ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক সংক্রান্ত মিডিয়া রিপোর্টের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নিয়ে নিশা ও সিংলার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত প্রায় অভিন্ন অবস্থানে রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে মিডিয়া রিপোর্টে। জবাবে রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট বলেন, নিশা বিসওয়াল দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করেন। ঢাকায় আজারবাইজানের কোনো প্রতিনিধি থাকলে তার সঙ্গেও আলোচনা হতে পারতো। এবার ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে স্বীকার করে বার্নিকাট বলেন, যতদূর জানি তাদের আগে দেখা হয়নি, এবারে তাদের সাক্ষাতের একটি সুযোগ ছিল। তাদের আলোচনায় নিরাপত্তা প্রসঙ্গ বা নিরাপত্তা উদ্বেগ ছিল কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে বার্নিকাট সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, যে কোনো গণতান্ত্রিক দেশ বা গণতন্ত্র নেই এমন অনেক দেশও নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের বিষয়গুলোতে একই দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। কেননা, যখন নৈরাজ্য বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তখন ক্রমেই খারাপ ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশের সঙ্গে কাজ করে তারা প্রত্যেকে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এটি নিশ্চিত করার জন্যই কাজ করি।