যারা আইনের রক্ষক হয়ে কষ্ট দেয় তারাই কষ্ট পায়। সংবিধান আইনকে সংরক্ষন করে। যদি সংবিধানও কষ্ট দেয় তবে কষ্টের পরে সুখ কোনটা জানা নেই। তবে কষ্টের পরে সুখ এটা সঠিক।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বেগম খালেদা জিয়া কষ্ট দিয়েছেন। কষ্ট দেয়ার সময় সুখে ছিলেন। এখন কষ্ট পাচ্ছেন। মানে ক্ষমতার বাইরে। এরশাদ সাহেব রাষ্ট্রপতি হয়ে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় আছেন আবার বিরোধী দলের ব্যানারে। এটা তার পাগলামী বা ছেলে খেলা। সুখ নয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যে টুকু সুখ দিচ্ছেন তা ভাল। তবে কষ্টগুলো থেকে মুক্তি চাই। কষ্ট গুলো দেয়া বন্ধ না করলে তিনিও কষ্ট পাবেন। কারণ কষ্টের পর সুখ আসে। জনগন এখন যে কষ্ট পাচ্ছেন তার পরে সুখ পাবেন। তবে কষ্টের হাতিয়ার হিসেবে আইনের অপপ্রয়োগের পর যদি সংবিধানেরও অপপ্রয়োগ হয় তবে একটি স্বাধীন দেশের শেষ ভরসাও নষ্ট হয়ে যায়। তখন প্রশ্ন এসেই যায় এই কষ্টের পর কি ধরণের সুখ আসবে?
জাতি বিনয়ের সঙ্গে আহবান করছে, আমাদের রাজনীতিবিদদের এমন কিছু করা উচিত নয় যেন তাদের রাজনীতি করার ক্ষেত্রটাই না থাকে। জনগনের যদি ভোট না থাকে তবে দেশে গনতন্ত্র থাকে না। আইনের রক্ষক যারা তাদের যদি স্বাধীনতা না থাকে তবে প্রজাতন্ত্রে গনতন্ত্র থাকে না। আর সংবিধানের যদি স্বয়ংক্রিয়তা না থাকে তবে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা থাকে না। তাই হিসেব করে কাজ না করলে পরে অনুশোচনা করতে হবে। যেমনটি করছেন বর্তমান অনেক রাজনীতিবিদেরা।
প্রত্যাশা থাকল, আমরা গনতেন্ত্র বিশ্বাস করি বলেই মহান মুক্তিযুদ্ধ করেছি। তাই কোন কারণে আমরা লাইনচ্যূত হয়ে যাব এমনটি করা কারো উচিত নয়। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিত। না হয় আমরা সবাই বিপদে পরতে পারি। এটা মনে রাখতে হবে। কারণ কষ্টের পর সুখ। সুখের পর কষ্ট।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম