নিজের অধিকার চর্চা করতে গিয়ে নিজেই হারিয়ে গেলেন। রাষ্ট্রের মালিক রাষ্ট্র চালানোর অনুমতি দিতে গিয়ে খুন হলেন। যাদেরকে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে দিতেন তারাই খুন করলেন মালিকপক্ষকে। চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হল গতকাল। এবার খুন হলেন ৭জন। চার ধাপে মোট খুন হয়েছেন ৭৮জন। সামনে আরো দুই ধাপ আছে। দেখা যাক অংক কোথায় দাঁড়ায়।
নির্বাচনের এই বর্বরতাকে নির্বাচন কমিশন ব্যাখা করতে গিয়ে বলেছে, আগের তুলনায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। সরকারী দল আওয়ামীলীগ বলছে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। বিরোধী বিএনপি বলছে, ভোট লুটের উৎসব চলছে। যারা খুন হচ্ছেন তাদের পরিবার কি বলছেন তা জাতির কাছে পৌছছে না। তবে যারা খুন করছেন তারা উল্লাস করছেন প্রকাশ্যে।
রাষ্ট্রের মালিক জনগন। তারা ভোট দিয়ে ৫ বছরের জন্য যন্ত্রচালক নির্বাচন করতে চেয়ে নিজেরই খুন হচ্ছেন। এই সংস্কৃতি যদি প্রথায় পরিণত হয় তবে রাষ্ট্রের মালিকেরা হয়ত আর ভোট দিতেও যাবেন না। কারণ ভোট দিতে গিয়ে যদি ফিরে আসা না হয় তবে এই ভোট না দেয়াই ভাল।
একটি কষ্ট নাগরিকদের মনে আছে, তা হল, ভোট ছাড়াই যেহেতু সরকার চলে তবে ভোটের আয়োজন না করাই ভাল। ভোট যদি মরণ নিয়ে আসে তবে ওই ভোট অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকাই উচিত।
একটি হাস্যকর ঘটনা হল, সরকার চিৎকার করে গনতন্ত্র দাবি করে ভোটের নামে মানুষ খুন করছে। বিএনপিএকতরফা ভোট অনুষ্ঠান করেছে ও অনেক জনপ্রতিনিধি নিজেরাই নির্বাচিত করেছিল। রাজপথে মানুষ খুন করে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেছে বিএনপি। জাতীয় পার্টি ভোট লুট করে ক্ষমতা ভোগ করে এখন গনতন্ত্রের জন্য চিৎকার করে। জামায়াতে ইসলামী নিজের লোক রক্ষার জন্য আন্দোলন করে।
সুতরাং রাজনৈতিক দলগুলো কেমন গনতন্ত্র চর্চা করছে তা সকলের জানা। তাই যেখানে গনতন্ত্র নেই সেখানে গনতেন্ত্রর দোহাই দিয়ে গনতন্ত্রকে হত্যা কারার উৎসব না করাই উত্তম।
ড. এ কে এম, রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম