চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সারা দেশে ভোটডাকাতির তাণ্ডব হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের নির্বাচনব্যবস্থা মহাশ্মশানে পরিণত হয়েছে। এই ব্যবস্থা চলতে থাকলে সামনের যে কোনো নির্বাচনই আওয়ামী লীগের ঘরোয়া অনুষ্ঠানে পরিণত হবে। আজ বিকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, চতুর্থ ধাপে দেশব্যাপী ৪৭টি জেলার ৭০৯টি ইউপিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র ভোট ডাকাতির তা-ব চালিয়েছে। বিএনপির এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, ভোটারদের ভোট প্রদানে বাধা, অস্ত্রের মহড়া, হামলা ও নিরুপায় হয়ে প্রার্থীদের ভোট বর্জনের চিত্র ছিল একই। পূর্বের ন্যায় এবারও ভোটের দিন সকাল ৮টায় ভোট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনেক কেন্দ্রে ভোট শুরু হয়ে যায় আগের রাতে। এছাড়া আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশব্যাপী অসংখ্য ভোটকেন্দ্র দখল করে জাল ভোট প্রদানের মহোৎসব চালিয়েছে। রিজভী আহমেদ করেন, গায়ের জোরে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকেই সরকার তাদের অনুকূলে নিয়ে নিয়েছে। ইউপি নির্বাচন নিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষে নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে এ পর্যন্ত ৭১ জন লোক মারা গেছে। নির্বাচন কমিশন হুইসেল বাজানো প্রহরীর দায়িত্বও পালন করতে পারেনি। বরং যারা নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, তাদেরই সহায়তা করে এসেছে এই কমিশন। মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধাদান, মনোনয়নপত্র কেড়ে নেয়া বা ছিঁড়ে ফেলার কারণে বিএনপি প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। এ বিষয়ে কমিশনকে অভিযোগ করলে অবলা প্রাণীর মতো আচরণ করেছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততার কারণেই বিএনপির কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারলেও চাপ সৃষ্টির কারণে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন। যে কারণে চতুর্থ ধাপের এই ইউপি নির্বাচনে ১০৯টি ইউপিতে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন না।