ফেনী সদর ও ছাগলনাইয়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ ১১ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কেন্দ্র দখল ও জাল ভোটের অভিযোগে সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেন জসিম নির্বাচন বর্জন করে পূর্ণ নির্বাচন দাবি করেছে। জাল ভোট ও কেন্দ্র অবৈধ প্রবেশের দায়ে দুই ব্যক্তিকে এক মাস করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে জোর পূর্বক ব্যলটে সিল মারার অভিযোগে ৫ শতাধিক ব্যালট বাতিল করেছে প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা।
শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের অলি নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা হামলা চালালে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া সর্ট গানের গুলিতে মোহাম্মদ ইয়াছিন নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নে উত্তর সতর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ৬ জন ও শুভপুর ইউনিয়নের জগন্নাথ সোনাপুর কেন্দ্রে ভোট শুরুর আগে কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
এদিকে এই ইউনিয়নের বিএনপি মনোনিত প্রার্থী জাকির হোসেন জসিম সরকারী দলের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল করার অভিযোগ এনে সকাল সাড়ে ১১টায় নির্বাচন বর্জন করেন। ছাগলনাইয়ার জগন্নাথ সোনাপুর কেন্দ্রে ইউপি সদস্য প্রার্থী শাহআলম ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমকে প্রতিপক্ষ কুপিয়ে মারাত্বক ভাবে আহত করেছে।
ছাগলনাইয়ার গোপাল ইউনিয়নের নিজকুঞ্জরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সীল মারা তিনশত ব্যালট জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত। এই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুল হককে সরকার দলীয় সমর্থকরা শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভ্রাম্যমান আদালত বিভিন্ন স্থান থেকে ৫ জনকে জাল ভোট দেয়ার ও জুলফিকার নামে একজনকে ভোটের সীল, স্টাম্পপ্যাড ও নগদ টাকা নিয়ে কেন্দ্রের পাশে ঘুরার অভিযোগে সাজা প্রদান করেন। ইউপি নির্বাচনে ফেনী সদর উপজেলার ৪ ইউনিয়ন ও ছাগলনাইয়া উপজেলার সবকয়টি (৫) ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।