সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এখন আর সেশনজট নেই, ২৩ বছরেই ছেলে-মেয়েরা মাস্টার্স শেষ করতে পারছে। এরপরেও ৩০ বছর পর্যন্ত সময় রয়েছে। তাদের জন্য যথেষ্ট সময় রয়েগেছে। ৩০ বছর বয়সের পর আসলে আর কেউ যুবক থাকে না, প্রৌড় বা মধ্য বয়সী হয়ে যায়। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সদস্য নুরুল ইসলাম ওমরের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে সেশনজট দূর করেছে। এখন আর কোন সেশনজট নেই। ছাত্র-ছাত্রীরা সময়মত পড়াশুনা করতে পারছে। তাই ৩০ বছরই যথেষ্ট, ৩০ বছরের বেশি হলে তখন বলতে হবে মধ্য বয়সীদের চাকরি দিতে হবে। আমাদের বয়স বাড়ানো ওই ধরনের কোন পরিকল্পনা নেই।
এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার দেশের নারী ও শিশু অপহরণ রোধে এবং নানাভাবে হত্যা ও নির্যাতনকারীদের শাস্তি প্রদানে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে নারী-শিশু নির্যাতনে কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার স্থাপন এবং নারী কন্যা শিশু নির্যাতন প্রতিরোধের লক্ষ্যে সারাদেশে ৪৪টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে। নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি হিসেবে প্রচলিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ২০ (৩) ধারা মোতাবেক বিচারের জন্য মামলা প্রাপ্তির তারিখ হতে ১৮০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্য সমাপ্ত করার বিধান রয়েছে। এ আইনের কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে নানা পদক্ষেপ
সরকার দলীয় সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাইবার স্পেসকে জনগণের জন্য নিরাপদ করা এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ আইসিটি অবকাঠামো সুরক্ষায় সরকার ২০১৪ সালে ‘জাতীয় সাইবার সিকিউরিটি কৌশলপত্র’ অনুমোদন করেছে। এছাড়া সাইবার অপরাধ দমনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০১৬-এর সময়োপযোগী সংশোধন করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৩ সালে এ আইনের সংশোধন করা হয়েছে। তিনি জানান, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে সাইবার অপরাধ শনাক্তকরণ ও দমনে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সাইবার অপরাধ তদন্তে সহায়তার জন্য তথ্য ও যোযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে। এছাড়া ফেসবুক, মাইক্রোসফট, গুগল ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তথ্য আদান প্রদানসহ সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে। এছাড়াও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে সাইবার থ্রেট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স নামে প্রকল্প অনুমোদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মোট জনসংখ্যার ৭২ শতাংশ গ্রামে বাস করে
মো. ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় ৯০ শতাংশ জুড়ে গ্রাম রয়েছে এবং মোট জনসংখ্যার ৭২ শতাংশ গ্রামে বসবাস করে। গ্রাম ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার (জানুয়ারি ২০০৯ হতে অদ্যাবধি) ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের মাধ্যমে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সংসদে দেয়া তথ্যানুযায়ী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সুপেয় নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্য শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের গ্রাম ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। একটি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানে ২০০০ সালে পানি সরবরাহ কভারেজ ছিল ৭৪ শতাংশ, সেখানে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্তমানে কাভারেজ ৮৮ শতাংশে উন্নিত হয়েছে। পাশাপাশি এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। একইভাবে স্যানিটেশন কভারেজের ক্ষেত্রেও সাফল্য ব্যাপক। যেখানে ২০০৩ সালে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগের হার ছিল ৪২ শতাংশ সেখানে বর্তমানে এ হার মাত্র ১ শতাংশ।
অটিস্টিক শিশুর দায়িত্ব সরকারের
সংরক্ষিত আসনের সদস্য মোছা. সেলিনা জাহান লিটার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে অটিস্টিক শিশুদের সুরক্ষায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুল নিরলস পরিশ্রম করছেন। তার এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সরকার কর্তৃক ঘোষিত দেশের প্রতিটি অটিস্টিক শিশুর দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, অটিস্টিট শিশুদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাভাবিক শিশুদের ন্যায় জীবনযাপনে উপযোগী করে গড়ে তুলতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় ‘অটিস্টিক একাডেমি স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকায় একটি অটিস্টিক একাডেমি স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য ইতোমধ্যে ঢাকার পূর্বাচলে ৮ নম্বর সেক্টরে ৩ দশমিক ৩ একর জমি পাওয়া গিয়েছে। জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে সেশনজট দূর করেছে। এখন আর কোন সেশনজট নেই। ছাত্র-ছাত্রীরা সময়মত পড়াশুনা করতে পারছে। তাই ৩০ বছরই যথেষ্ট, ৩০ বছরের বেশি হলে তখন বলতে হবে মধ্য বয়সীদের চাকরি দিতে হবে। আমাদের বয়স বাড়ানো ওই ধরনের কোন পরিকল্পনা নেই।
এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার দেশের নারী ও শিশু অপহরণ রোধে এবং নানাভাবে হত্যা ও নির্যাতনকারীদের শাস্তি প্রদানে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে নারী-শিশু নির্যাতনে কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার স্থাপন এবং নারী কন্যা শিশু নির্যাতন প্রতিরোধের লক্ষ্যে সারাদেশে ৪৪টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে। নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি হিসেবে প্রচলিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ২০ (৩) ধারা মোতাবেক বিচারের জন্য মামলা প্রাপ্তির তারিখ হতে ১৮০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্য সমাপ্ত করার বিধান রয়েছে। এ আইনের কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে নানা পদক্ষেপ
সরকার দলীয় সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাইবার স্পেসকে জনগণের জন্য নিরাপদ করা এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ আইসিটি অবকাঠামো সুরক্ষায় সরকার ২০১৪ সালে ‘জাতীয় সাইবার সিকিউরিটি কৌশলপত্র’ অনুমোদন করেছে। এছাড়া সাইবার অপরাধ দমনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০১৬-এর সময়োপযোগী সংশোধন করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৩ সালে এ আইনের সংশোধন করা হয়েছে। তিনি জানান, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে সাইবার অপরাধ শনাক্তকরণ ও দমনে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সাইবার অপরাধ তদন্তে সহায়তার জন্য তথ্য ও যোযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে। এছাড়া ফেসবুক, মাইক্রোসফট, গুগল ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তথ্য আদান প্রদানসহ সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে। এছাড়াও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে সাইবার থ্রেট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স নামে প্রকল্প অনুমোদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মোট জনসংখ্যার ৭২ শতাংশ গ্রামে বাস করে
মো. ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় ৯০ শতাংশ জুড়ে গ্রাম রয়েছে এবং মোট জনসংখ্যার ৭২ শতাংশ গ্রামে বসবাস করে। গ্রাম ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার (জানুয়ারি ২০০৯ হতে অদ্যাবধি) ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের মাধ্যমে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সংসদে দেয়া তথ্যানুযায়ী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সুপেয় নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্য শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের গ্রাম ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। একটি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানে ২০০০ সালে পানি সরবরাহ কভারেজ ছিল ৭৪ শতাংশ, সেখানে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্তমানে কাভারেজ ৮৮ শতাংশে উন্নিত হয়েছে। পাশাপাশি এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। একইভাবে স্যানিটেশন কভারেজের ক্ষেত্রেও সাফল্য ব্যাপক। যেখানে ২০০৩ সালে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগের হার ছিল ৪২ শতাংশ সেখানে বর্তমানে এ হার মাত্র ১ শতাংশ।
অটিস্টিক শিশুর দায়িত্ব সরকারের
সংরক্ষিত আসনের সদস্য মোছা. সেলিনা জাহান লিটার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে অটিস্টিক শিশুদের সুরক্ষায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুল নিরলস পরিশ্রম করছেন। তার এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সরকার কর্তৃক ঘোষিত দেশের প্রতিটি অটিস্টিক শিশুর দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, অটিস্টিট শিশুদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাভাবিক শিশুদের ন্যায় জীবনযাপনে উপযোগী করে গড়ে তুলতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় ‘অটিস্টিক একাডেমি স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকায় একটি অটিস্টিক একাডেমি স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য ইতোমধ্যে ঢাকার পূর্বাচলে ৮ নম্বর সেক্টরে ৩ দশমিক ৩ একর জমি পাওয়া গিয়েছে। জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।