যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল ঢাকা আসছেন আজ। তার দুই দিনের সফরে মার্কিন মিশনের কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে ‘সন্ত্রাসবাদ বিরোধী’ সহযোগিতার বিষয় গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ঢাকায় পৌঁছানোর পর নিশা দেশাই’র সঙ্গে দিনের প্রথম ভাগেই বৈঠক হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে। বিকালে তিনি ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের এক বৈঠকে যোগ দেবেন। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন বলে নির্ধারিত আছে। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও তার বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক মিডিয়া নোটে জানানো হয়েছে, সফরে বিসওয়াল স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। গত সপ্তাহে মার্কিন মিশন কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নানকে কুপিয়ে হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। ঘটনায় দায়ীদের খুঁজে বের করার অনুরোধ করেছিলেন। সে সময় কাউন্টার টেররিজম সংক্রান্ত সহযোগিতা এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালকে বাংলাদেশে পাঠানোর কথাও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। ঢাকা মিশন কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখায় যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে হোয়াইট হাউজ থেকে শুরু করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ দেশটির বিভিন্ন মহল থেকে এ ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানানো হয়েছে। বৃটেন, ফ্রান্স জার্মানি, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ও আন্তর্জাতিক সংস্থা-সংগঠনের তরফেও সহিংস ওই ঘটনাগুলো বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জোরালো তাগিদ দেয়া হয়েছে। একাধিক কূটনৈতিক সূত্র মতে, বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগ সত্ত্বেও উগ্রবাদী আক্রমণ ঠেকানো না যাওয়ার প্রেক্ষিতে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ওয়াশিংটন ঢাকাকে আরও জোরালো সহযোগিতা দিতে চাইছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সরাসরি টেলিফোন আলাপে সেটি আরও স্পষ্ট হয়েছে। এদিকে নিশা দেশাই বিসওয়ালের ঢাকা সফরে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলার বিষয় গুরুত্ব পাবে বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশ পরিস্থিতির দিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সেই উদ্বেগ অব্যাহত আছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন মুখপাত্র জন কিরবি। ২রা মে ওই ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড ও তা নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ফোনের বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে জন কিরবি ওইসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান অব্যাহত থাকবে। এখানে তাদের কথোপকথন প্রশ্নোত্তর আকারে তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: আমার প্রশ্ন বাংলাদেশ নিয়ে। গত শুক্রবার বিকালে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এলজিবিটি অধিকারকর্মী, অন্যসব হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে যারা ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের ওপর হামলা প্রতিরোধ করতে ও তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারীদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে সপ্তাহান্তে আরেকজনকে কুপিয়ে খুন করার ঠিক আগে। ওইসব মানুষ, এলজিবিটি অধিকারকর্মী ও অন্যরা, যারা দেশে এ ধরনের হামলার মুখোমুখি, তাদের সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশ সরকার কি যথেষ্ট করছে বলে আপনি আশ্বস্ত হতে পেরেছেন?
উত্তর: ভাল কথা। আমি বলবো যে, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য অধিকতর নিরাপদ পরিবেশ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান অব্যাহত রয়েছে। এদেশের মানুষের যে প্রকৃতি এবং তারা যে বিষয়ে গর্ব করে তা হলো তাদের সহনশীলতা, শান্তি ও বহুত্ববাদের রীতি। আপনি ঠিকই বলেছেন, সেখানকার সাম্প্রতিক সমস্যাগুলোর বিষয়ে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। তা আমরা অব্যাহত রাখছি। এর বাইরে আপনাকে দেয়ার মতো সুনির্দিষ্ট কোন পদক্ষেপের কথা আমার কাছে নেই। কিন্তু আমি বলতে পারি, আমরা এসব বিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছি। বিষয়টির সঙ্গে আমরা লেগে আছি।
বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশ পরিস্থিতির দিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সেই উদ্বেগ অব্যাহত আছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন মুখপাত্র জন কিরবি। ২রা মে ওই ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড ও তা নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ফোনের বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে জন কিরবি ওইসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান অব্যাহত থাকবে। এখানে তাদের কথোপকথন প্রশ্নোত্তর আকারে তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: আমার প্রশ্ন বাংলাদেশ নিয়ে। গত শুক্রবার বিকালে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এলজিবিটি অধিকারকর্মী, অন্যসব হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে যারা ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের ওপর হামলা প্রতিরোধ করতে ও তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারীদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে সপ্তাহান্তে আরেকজনকে কুপিয়ে খুন করার ঠিক আগে। ওইসব মানুষ, এলজিবিটি অধিকারকর্মী ও অন্যরা, যারা দেশে এ ধরনের হামলার মুখোমুখি, তাদের সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশ সরকার কি যথেষ্ট করছে বলে আপনি আশ্বস্ত হতে পেরেছেন?
উত্তর: ভাল কথা। আমি বলবো যে, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য অধিকতর নিরাপদ পরিবেশ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান অব্যাহত রয়েছে। এদেশের মানুষের যে প্রকৃতি এবং তারা যে বিষয়ে গর্ব করে তা হলো তাদের সহনশীলতা, শান্তি ও বহুত্ববাদের রীতি। আপনি ঠিকই বলেছেন, সেখানকার সাম্প্রতিক সমস্যাগুলোর বিষয়ে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। তা আমরা অব্যাহত রাখছি। এর বাইরে আপনাকে দেয়ার মতো সুনির্দিষ্ট কোন পদক্ষেপের কথা আমার কাছে নেই। কিন্তু আমি বলতে পারি, আমরা এসব বিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছি। বিষয়টির সঙ্গে আমরা লেগে আছি।