রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, একজন সাংসদ, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিকসহ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে নাটোর প্রেসক্লাবে। চিঠিটি ইসলামী লিবারেশন ফ্রন্ট (আইএলএফ) নামের একটি সংগঠনের প্যাডে পাঠানো হয়। আজ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে নাটোর ডাকঘর থেকে চিঠিটি প্রেসক্লাবে আসে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের কিলিং লিস্টে যাঁরা আছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য মুহম্মদ মিজান উদ্দিন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ, সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, সাংবাদিক শিবলী নোমান, আনু মোস্তফা, কাজী শাহেদ, মুক্তিযোদ্ধা বরজাহান আলী শাহজাহান, দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলী ও দৈনিক শানসাইন পত্রিকার সম্পাদক ইউনুস আলী।’
নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি রেজাউল করিম ও সাধারণ সম্পাদক দুলাল সরকারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নাটোর পোস্ট অফিস থেকে চিঠিটি আসে। ক্লাবের অফিস সহকারী চিঠিটি ক্লাবের চিঠির ফাইলে রেখে দেন। বেলা দুইটার দিকে সাধারণ সম্পাদক দুলাল সরকার এসে চিঠিগুলো দেখার সময় ওই চিঠিটি নজরে এলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সব সাংবাদিককে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে বিষয়টি নাটোরের পুলিশ সুপারকেও অবহিত করা হয়। রাজশাহীর কোনো এক পোস্ট অফিস থেকে চিঠিটি সভাপতি/সম্পাদক, নাটোর প্রেসক্লাব বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা, জিহাদে সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ এবং বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে আইএলএফের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রেসক্লাবের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা বলেন, চিঠি পাওয়ার পর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার মুখার্জি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অবহিত হয়েছি। তবে চিঠিতে প্রেরকের সুনির্দিষ্ট নাম-ঠিকানা না থাকায় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনো স্বার্থান্বেষী মহল বা জঙ্গিগোষ্ঠী তাদের স্বার্থ হাসিল করতে এ ধরনের অপকর্ম করে থাকতে পারে।’