নিখিল হত্যাকান্ড নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন

Slider বাংলার মুখোমুখি

12249_new

 

টাঙ্গাইলের দর্জি নিখিল চন্দ্র জোয়ারদার (৫২) হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় রোববার তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাংলাদেশে এমন সব হত্যাকা-ের জন্য ইসলামী উগ্রপন্থিরা দায়ী বলে ধারণা করা হয়। আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ উদ্ধার করেছে একটি রক্তমাখা শার্ট। ধারণা করা হচ্ছে, ঘাতকরা পালানোর সময় তা ফেলে গিয়েছে। টেলিফোন সাক্ষাতকারে এ কথা বলেছেন পুলিশের সিনিয়র এক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসলাম খান। তিনি আরও বলেন, কে এ হামলা চালিয়েছে সে বিষষয়ে টাঙ্গাইল পুলিশের কোন ধারণা নেই। পুলিশ বলেছে, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নিজ দোকানের বাইরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিন ব্যক্তি নিখিল চন্দ্র জোয়ারদারের ওপর হামলা চালায়। আসলাম খান বলেছেন, এ ঘটনায় স্থানীয় জামায়াতের সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম বাদশা (৫০) কে আটক করা হয়েছে। আরও আটক করা হয়েছে বিএনপির স্থানীয় কর্মী ঝন্টু মিয়াকে ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আমিনুল ইসলামকে। অতীতে এ দুটি দলের বিরুদ্ধে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও মানুষ হত্যা সহ অপরাধমুলক কর্মকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। আসলাম খান বলেন, মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.)-এর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করায় দর্জি নিখিলের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে মামলা করেছিলেন আমিনুল ইসসলাম। অভিযোগ প্রত্যাহারের আগেই নিখিলকে অল্প সময়ের জন্য জেলে যেতে হয়েছিল। ওদিকে নিখিল হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট। জিহাদি ওয়েবসাইটগুলোতে নজরদারি করে এমন মাকির্কন সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ এমনটাই জানিয়েছে। ইসলামের সমালোচনা করে মত প্রকাশ করেছেন এমন বুদ্ধিজীবি, ধর্মনিরপেক্ষ লেখক, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য, অধিকারকর্মীকে গত দু’বছরে হত্রা করেছে বাংলাদেশের উগ্রপন্থিরা। দেশে ইসলামিক স্টেট বা আন্তর্জাতিক কোন সন্ত্রাসী গ্রুপের উপস্থিতের কথা অস্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত সপ্তাহে তিনি সাম্প্রতিক এসব হত্যাকা-ের জন্য বিরোধী দলগুলোকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে এসব করছে।
গত মাসে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্র ১০ দিনের মধ্যে নিখিল চন্দ্রকেক নিয়ে ৫ জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাকে হত্যার জন্য যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে তাদের মন্তব্য পাওয়া যায় নিন। তবে গোপালপুর ইউনিট জামায়াতের প্রধান হাবিবুর রহমান টেলিফোন সাক্ষাতকারে বলেছেন, স্থানীয় জামায়াতের সেক্রেটারি বাদশাকে যে অভিযোগে আটক করা হয়েছে তা পুরোপুরি মিথ্যা। তিনি বলেন, এ রকম কোন হত্যাকা-ে জামায়াতের কোন নেতা জড়িত নন। বাদশাকে মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে পুলিশ আটক করেছে, যাতে তারা জনগণকে দেখাতে পারে যে, তারা তদন্তে অগ্রগতি করেছে। তিনি বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমিনুল ইসলামকে চেনেন। তার ভাষায়, আমি বিশ্বাস করি তিনি এমন হত্যাকা-ে জড়িত থাকতে পারেন না।
আসলাম খান বলেছেন, অতীতের কর্মাকা-ের ওপর ভিত্তি করে আটক তিন ব্যক্তিকে সন্দেহ করার কারণ রয়েছে পুলিশের। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবো। আমরা যদি তাদের কাছ থেকে কোন উল্লেখযোগ্য তথ্য পাই নিখিল হত্যাকা- নিয়ে তাহলে আমাদের তদন্ত সামনে এগিয়ে নেয়ায় তা সহায়ক হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *