আওয়ামী লীগের লক্ষ্য দেশের সুষম উন্নয়ন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নেই আজীবন কাজ করে যাবার আকাঙ্খা ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি করে ভাগ্য গড়তে আসিনি। আমি জাতির পিতার কন্যা। রাজনীতি করছি নিজের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নয়, মানুষের কল্যাণে। বাকিটা জীবন সেটাই করে যাবো।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বেলা পৌনে ১২টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়ায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশের মানুষের জন্য আমার বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই জীবন দিয়ে গেছেন। আমি সব হারিয়েছি, আমার তো আর হারাবার কিছু নেই। চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। এখন এ দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নকে অনেকে বিস্ময় বলেন, আমি বলি এটি বিস্ময় নয়, বিশ্বাস। জনগণের প্রতি বিশ্বাস। এই বিশ্বাস আছে বলেই দেশের উন্নতি করতে পারছি। নিয়ত ভালো বলে যেখানেই হাত দিচ্ছি, সেখানেই সাফল্য অর্জন করছি’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র না করলে এতো দিনে এই সেতুর নির্মাণ কাজ আরও এগিয়ে যেত।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আজকে আর বই-খাতা কিনতে হয় না, আমরা সবই দিচ্ছি। দেশে এখন খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। মানুষের চাহিদা বদলে গেছে, কারণ পেটে খাবার আছে। এখন মানুষ বিদ্যুৎ চায়, স্কুল চায়। আমরা তা করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় গোপালগঞ্জবাসী বৈরিতার শিকার ছিল, অবহেলিত ছিল। সেটি হয়েছিল একটি বিশেষ কারণে। বাজেটে টাকা দেয়া হতো। কিন্তু, উন্নয়ন হতো না। এখান থেকে এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ও সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
স্বাস্থ্যখাতে তাঁর সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখাতে উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আরও তিনটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ করছি। এ ছাড়া প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হবে।
সদ্য প্রতিষ্ঠিত শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, আশা করি এই চিকিৎসা কেন্দ্র মানবসেবায় অবদান রাখবে।
তিনি আরেক দিন এখানে চোখের চিকিৎসার জন্য আসবেন বলেও জানান। সূত্র: বাসস