সরকারের ঘোষণা অনুযায়ি আঙ্গুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের জন্য হাতে সময় রয়েছে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। শনিবার রাত ১০টায় শেষ হচ্ছে বহুল আলোচিত এ নিবন্ধন কার্যক্রম। কিন্তু শুক্রবার থেকেই সিম নিবন্ধনে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। প্রতিটি কেন্দ্রে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে। সার্ভার জটিলতার কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের। গতকাল সকাল ৮টার পর থেকে মোবাইল অপারেটরদের সার্ভার হ্যাং হয়ে যায়। এতে নিবন্ধন কার্যক্রমে মারাত্বক ব্যাঘাত ঘটে। টানা প্রায় ২ ঘন্টা বন্ধ থাকে নিবন্ধন। এসময় সিম নিবন্ধনের জন্য আসা ব্যক্তিদের সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা ছিল কেন্দ্রের গ্রাহক ব্যবস্থাপকদের। ফলে নিবন্ধনের কাজে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ধীর গতি দেখা যায়। তবে কেন্দ্রগুলোতে কাজ বন্ধ ছিল না। সার্ভারের ধীর গতির সময় ফরমপূরণসহ অন্যান্য কাজগুলো চলেছে। পরে সার্ভার ঠিক হলে আবার শুরু হয়। সরজমিনে রাজধানীর গুলশান, বনানী, নিকেতন শাহজাদপুর, তেজগাঁও ও ফার্মগেটের কয়েকটি কেন্দ্রে এ চিত্র পাওয়া যায়। গুলশান-১ এর মোড়ে সিম নিবন্ধন করতে আসা আনোয়ার হোসেন জানান, সকালে এসে শুনি সার্ভার ডাউন। কখন হবে ঠিক নেই। অপেক্ষা করছি। পাশে দঁড়িয়ে থাকা ইকবার বলেন, দেশের বাইরে থাকায় সিম নিবন্ধন করতে পারিনি। এখন ৪টা সিম নিয়ে অপেক্ষা করছি। দেড় ঘন্টা হয়ে গেলো ফরম পূরণ করে বসে আছি। গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, একসঙ্গে অনেক গ্রাহকের চাপ বাড়ার কারণে সার্ভারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এদিকে বিকালে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আগারগাঁওয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অফিসে অপারেটরদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি দ্রুত সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন। বৈঠকে তারানা হালিম বলেন, মানুষের এত ভোগান্তি কেন? যাদের আঙুলের ছাপ মিলছে না, তাদের জন্য ডিভাইস ডিপ্লয় করেন। কালকের (শনিবার) প্রেসার সামলাতে পারবেন না। এ সময় এনআইডি অনু বিভাগের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সালেহ আহমেদ, পরিচালক সৈয়দ মুহম্মদ মুসাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।