বুধবার দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এসময় তার আইনজীবী অ্যাডভোটেক সানাউল্লাহ মিয়া জামিনের আবেদন করলেন আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ছাড়া সফিক রেহমানের পক্ষ থেকে আদালতে তার চিকিৎসা ও ডিভিশনের আবেদন করা হলে আদালত করাবিধি অনুযায়ী তা বিবেচনার নির্দেশ দেন।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারকে ২০১৫ সালে কারাদণ্ড দেয় যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে এফবিআইয়ের হাতে সংরক্ষিত গোপন তথ্য পাওয়ার জন্য ঘুষ দেওয়ার অপরাধে তাকে এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মার্কিন আদালতে প্রসিকিউশনের নথিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে ‘অপহরণ, ভয় দেখানো ও ক্ষতি করাই’ ছিল সিজারের তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্য। সিজার কিছু তথ্য বাংলাদেশি ‘এক সাংবাদিককে’ সরবরাহ করেছিলেন এবং বিনিময়ে ‘প্রায় ৩০ হাজার ডলার’ পেয়েছিলেন। ওই রায়ের পর জয়কে অপহরণের চক্রান্তের অভিযোগ এনে ঢাকার পল্টন থানায় পুলিশ একটি মামলা করে। সেই মামলাতেই গত ১৬ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয় শফিক রেহমানকে।
গ্রেফতারের পর প্রথম দফায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে গত শুক্রবার তার বিরুদ্ধে নতুন করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আবেদনের শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।