খুলনা: একটি হত্যা মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন খুলনার বিশেষ দায়রা জজ আদালত ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসএম সোলায়মান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আফজাল হাওলাদার, জাহিদ ওরফে পিচ্চি জাহিদ, সনু বিহারী ও লাভলু আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিন আসামি কাজল, মনির হোসেন ও ছোট শাহীন ওরফে শাহীন পলাতক।
রায়ে আদালত আফজাল হাওলাদার, জাহিদ ওরফে পিচ্চি জাহিদ, সনু বিহারী ও লাভলুকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে পলাতক আসামি কাজল, মনির হোসেন ও ছোট শাহীন ওরফে শাহীনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ এপিপি অ্যাডভোকেট মো. আখতারুজ্জামান খান। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সফিকুর রহমান সফি ও অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার। পলাতক আসামিদের পক্ষে (স্টেট ডিফেন্স) ছিলেন অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৭ জুন রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে নগরীর খালিশপুর চন্দন প্রতাপ এলাকার আইজার দোকান সংলগ্ন মেহেরুন্নেছার বাড়ি থেকে দুর্বৃত্তরা তার স্বামী আশিক মোল্লা ওরফে সবুরকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ খালিশপুর টিভি সেন্টারের উত্তর পাশে তিনতলা ভবনের সামনে শিশুপার্ক রোডে ফেলে যায়। এ ঘটনার পরদিন ২৮ জুন খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।