প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ থেকে তৃতীয় ধাপ ভাল নির্বাচন হবে এই আশায় বুক বেঁধে থাকা জাতির শেষ ভরসা নিঃশেষ হয়ে গেছে। ভোটের আগের রাতেই নৌকা সমর্থিতরা নিজে কেন্দ্রে গিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে শত শত ভোটারের সামনে সিল মেরে বাক্স ভরে দিয়েছেন। পরদিন ভোটের সময় প্রতিপক্ষের সকল এজেন্ট বের করে দিয়ে জাল ভোটের উৎসব করেছেন। কোথাও প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর সামনেই জাল ভোট মারা হয়েছে। কিছুই করতে না পারায় প্রার্থী নীরবে সহ্যৃ করেছেন। আর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন নীরব দর্শকের মত দাঁড়িয়ে থেকে লুট উৎসব উপভোগ করেছেন। ফলে জনগনের রায় প্রতিফলিত হয়নি।
তবে এই ভোটকে ভাল ভোট বলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ঘৃনা করা ছাড়া আর কোন অপশন খোলা নেই। এই ধরণের নির্বাচন জাতির জন্য কলংকজনকই শুধু নয় রীতিমত নির্যাতনও বটে। তাই গনতন্ত্রের নামে ভোটের উৎসব দিয়ে ভোটারকে নির্যাতন করা একটি সরকারের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। রাষ্ট্রের মালিক জনগনের সঙ্গে সরকারের এই ধরণের প্রতারণা ও হটকারিতা নিন্দনীয় ও ঘৃনার দাবি রাখে।
সুতরাং এই ধরণের ভোট অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকাই সরকারের জন্য মঙ্গল বলে মনে হচ্ছে।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম