দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘এ সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সবগুলোতেই আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সহিংস ও ভোট ডাকাতির ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে দেশবাসী।’
শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনিয়ম ও সহিংসতার বিবরণ দেন বিএনপির এ নেতা।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রাণঘাতি রক্তাক্ত সহিংসতা ঠেকাতে কোনো ধরণের উদ্যোগ নিচ্ছে না, কারণ ভোট ডাকাতির সাথে সংশ্লিষ্ট ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা রয়েছে। সুতরাং এই সমস্ত গুণ্ডা-পাণ্ডাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন, কারণ ঝুঁকি নিলে যদি চাকুরি চলে যায়!’
তিনি বলেন, ‘দেশবাসী ভালভাবেই জানে-আওয়ামী লীগের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তারা গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে প্রতিটি নির্বাচন নিয়ে তামাশার খেলা খেলছে। এবারেও দেশব্যাপী প্রথম ধাপ থেকে তৃতীয় ধাপ পর্যন্ত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রশাসনের সহায়তায় পেশি শক্তির দ্বারা ভোট লুটপাটের যে খেলা প্রদর্শন করলো তার জুড়ি নেই। প্রধানমন্ত্রী ইউপি নির্বাচনের সহিংসতা রোধে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি দেশবাসীর নিকট রসিকতা বলে মনে হয়েছে।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সরকার আজ পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়েছে। তাদের দখল করা ক্ষমতার স্বর্গ টিকিয়ে রাখার বিরুদ্ধে জনগণের ওপর দশগুন শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। গণতন্ত্রে অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে নির্বাচন, সেই নির্বাচনকে সরকার উপহাসে পরিণত করেছে। আর তাতে সহায়তা করছে নির্বাচন কমিশন। আর যার কারণেই তারা গোটা দেশকে এক বিভৎস নৈরাজ্যের অন্ধকারে ঢেকে দিয়েছে।