রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যারকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
পাশাপাশি হত্যার প্রতিবাদে রোববার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে রাবি শিক্ষক সমিতি।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় অধ্যাপক রেজাউল করিমের নিজ বাসার সামনে তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবরোধ করে। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টাব্যাপী চলা এ অবরোধ থেকে তারা ঘটনার মূল হোতাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
পরে বেলা বারোটার দিকে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় তারা এ জঘন্য হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা এবং হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বিকেলে ইংরেজি বিভাগের জরুরি বৈঠক থেকে পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে বলে আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন।
এদিকে বেলা সাড়ে ১২টার সিনেট ভবনের সামনে একই স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এ সময় বক্তব্য দেন সমিতির সভাপতি ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক শাহ আজম শান্তনু, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দিনে দুপুরে একজন ভালো মানুষকে এভাবে হত্যা করা মেনে নেয়া যায় না। নিয়মিতই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হত্যা করা হচ্ছে। এগুলো সমাজের অধঃপতনের লক্ষ্মণ।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তারা রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেন।
পাশাপাশি রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি।
অন্যান্য কর্মসূচি শনিবার সন্ধায় শিক্ষক সমিতির জরুরি বৈঠক শেষে ঘোষণা করা হবে বলে জানান শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ।
এদিকে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। শনিবার সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে গিয়ে সমাবেশ করে তারা।