শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নগরীর শালবাগান এলাকায় অধ্যাপক রেজাউল করিমের নিজ বাসার সামনে এই ঘটনা ঘটে বলে সমকালকে জানিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার সুশান্ত চন্দ্র রায়।
নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মামুন আব্দুল কাইয়ুম জানান, শনিবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের বাসে অধ্যাপক রেজাউল করিম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য শালবাগান মোড়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। নিজ বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে আসার পরই গলির মধ্যে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত শিক্ষক রেজাউল করিম প্রতিদিন বাড়ি থেকে বের হয়ে হেঁটে শালবাগান মোড়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে উঠতেন। শালবাগান বাজারের পশ্চিম পাশে গলির মধ্যে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে চলে যায়। তার ঘাড়ের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার সুশান্ত চন্দ্র রায় জানান, শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী বাসা থেকে বের হয়ে কিছুদূর আসার পরই পেছন থেকে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
তিনি জানান, তবে কারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে পুলিশ তা তদন্ত করে উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বোয়ালিয়া থানা পুলিশ কাজ করছে।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদত হোসেন খান জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো জঙ্গি সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজের বাসার সামনে সন্ত্রাসী হামলায় খুন হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম।