অথচ আজ রোববার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে স্মৃতিসৌধে জুতা পায়ে উঠলেন তাঁরা। ঘোরাঘুরি করলেন, ফটোসেশন করলেন। তাঁরা সাধারণ কেউ নন, সচিবসহ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। তাঁদের সঙ্গে জুতা পায়ে উঠলেন দুই পুলিশ সদস্যও। স্মৃতিসৌধের এমন অবমাননা দেখে উপস্থিত সাধারণ লোকজন হতবাক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আজ রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে যান মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হেমায়েত হোসেন।
তাঁরা জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধে উঠে যান। তাঁরা জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধে ঘোরাঘুরি করেন। একপর্যায়ে জুতা পায়ে তাঁরা স্মৃতিসৌধের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ফটোসেশন করেন। ছবি তুলতে সহায়তা করেন দুজন পুলিশ সদস্য। তাঁদের পায়েও ছিল জুতা। দুই-এক মিনিট পর তাঁরা ছবি তোলা শেষে নিচে নেমে আসেন।
জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধে যখন এ সরকারি কর্মকর্তারা চলাফেরা করছিলেন, তখন সেখানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাইকে জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধে না উঠার অনুরোধও করা হচ্ছিল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সচিব এমএ হান্নান জুতা পরে স্মৃতিসৌধে ওঠার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘অন্যরাও জুতা পরে উঠেছিলেন।’
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ জুতা পরে স্মৃতিসৌধে ওঠার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, ‘আমি দুইবার স্মৃতিসৌধে উঠেছি। দু’বারই জুতা খুলে স্মৃতিসৌধে উঠেছি।’