আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার অধিনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, তাদেরকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে। ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
নিরপেক্ষ সরকারের অধিনেই নির্বাচন করতে হবে। গতকাল রাতে গুলশানে রাজনৈতিক কার্যালয়ে একটি যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ছাত্রমৈত্রীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বাবু এবং ভাসানী স্মৃতি সংসদের সহ সভাপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মশিউর রহমান যাদু মিয়ার কন্যা ন্যান্সি রহমান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। সরকারের উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের দাবি ছোট্ট।
এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আপনারা দেখেছেন জনগণ ভোট দিতে পারেনি। তাই প্রমান হয়েছে এই সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। আসুন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে নির্বাচন করি। নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত প্রতিষ্ঠা হউক, এটাই আামদের দাবি।এই দাবিতে আমরা অটল থাকবো। সাংবাদিক শফিক রেহমানের গ্রেফতারে নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কারণ তার লেখা পড়ে সরকারের জ্বালা হতো। এভাবে প্রগতিশীলদের স্তব্দ করে দিকে চায় সরকার।
একইভাবে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি অবিলম্বে শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান, শওকত মাহমুদ, মাহমুদুর রহমান মান্না, গাজীপুর সিটি মেয়র আব্দুল মান্নানসহ গ্রেফতাকৃদের মুক্তি দাবি করছি।’ খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকাকালে অতীতেও ব্যাংক লুট হয়েছে। এবার ডিজিটাল কায়দায় ব্যাংক লুট হয়েছে। তাই তরুণদের জেগে উঠতে হবে। তা নাহলে ভষিষ্যতে তাদের ক্ষতি হবে।
যোগদানকারী নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ক্ষমতায় আমাদের কাছে বড় নয়, আমরা চাই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। তাই এই কঠিন ও দু:সময়ে বিএনপিতে যোগদান করায় আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। এর আগে স্বাগত বক্তব্য দেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, বিএনপিতে সদ্য যোগ দেওয়া নেতা আতাউর রহমান ঢালী, জহুরুল ইসলাম বাবু ও ন্যান্সি রহমান।