জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে রোববার আদালতে হাজির হবেন।
শনিবার তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ম্যাডাম আত্মপক্ষ সমর্থনে রোববার আদালতে হাজির হবেন।
৭ এপ্রিল ঢাকার তৃতীয় বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে ৩১ মার্চ বিচারক এ মামলার তিনজনকে আদালতে হাজির থাকতে বলেছিলেন। অপর দুই আসামি হলেন-জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান। সে অনুযায়ী ওই দুই জন ৭ এপ্রিল আদালতে উপস্থিত হয়ে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
এ মামলায় খালেদা জিয়া দোষী বা নির্দোষ তা আদালত ওইদিন তার কাছে জানতে চাইবেন। চার আসামির মধ্যে একজন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
আদেশের পর সেদিন দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল জানান, ১৭ এপ্রিল আদালত সব সাক্ষীর সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে আসামি পক্ষে যারা উপস্থিত থাকবেন তাদের জিজ্ঞাসা করবেন তারা দোষী না নির্দোষ। এরপর যুক্তি উপস্থাপন করা হবে। এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন সানাউল্লাহ মিয়া।
২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। এ অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার দুদকের কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদ খান।