নববর্ষে বাগেরহাটে কচুয়ায় পান্তা ইলিশ খেয়ে অন্তত ৫০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে ২৩ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় লেডিস ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পান্তা-ইলিশের সঙ্গে ছিল- ডাল, আলু ভর্তা, চিংড়ি ভর্তা,বেগুন ভাজা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন, শিক্ষিকা শিরিনা খানম, শিশু সাইদা,সাংবদিক দিহিদার জাহিদুল ইসলাম বুলু, দিহিদার মঈদুল ইসলাম, আল আমিন, শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক বনি আমিন, শাহিনুর আক্তার, বর্নালী, ইশিকা, নুপুর, মিনারা, জবেদা বেগম, ফাহমিদা আক্তার, মিম আক্তার, মর্জিনা আক্তার, শামিমা খানম, কাওছার আলী, শৈকত হোসেন।
অসুস্থ কয়েকজন জানান, বর্ষবরণের র্যাললি শেষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে লেডিস ক্লাবে পান্তা ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে তারা বাড়ি ফিরে যান। পরে পেট ব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। আস্তে আস্তে অসুস্থতার মাত্রা বাড়তে থাকে। পরে তারা হাসপাতালে ভর্তি হন।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার দাস বলেন, ‘বর্ষবরণের খাবার খেয়ে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতাল থেকে তাদের সব ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুবুর রশিদ বলেন, ‘গরমে আলু ভর্তা,ডাল ভর্তা,বেগুন ভাজিসহ খাবার খেয়ে ৪/৫ শত লোকের মধ্যে ২০/২৫ জনের ফুড পয়জনিং হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য কমিটি করা হয়েছে। অসুস্থদের নিয়মিত খবর রাখা হচ্ছে।