ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপেও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রথম দুই দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের ভোট ডাকাতির পর আগামী ২৩ এপ্রিল ও ৩ মে তৃতীয় এবং চতুর্থ দফার নির্বাচনের প্রাক্কালেও তারা দেশব্যাপী ভয়াবহ সশস্ত্র তাণ্ডব শুরু করেছে। এ পর্যন্ত আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ৪৫ জন নিহত ও পাঁচ সহস্রাধিক লোক আহত হলেও নির্বাচনী সহিংসতায় মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে।
বুধবার সকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করলেও নির্দলীয় এবং নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। সারাদেশের মানুষ ভোটপ্রহসনে ক্লান্ত ও আতংকিত। ক্ষমতাসীনদের অস্ত্রের ঝনঝনাতিতে গ্রামে গ্রামে ভয়ঙ্কর আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। তারা সশস্ত্র মহড়া দিয়ে সারাদেশে বিএনপি কর্মী ও ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যেতে হুমকি ধামকি আগের মতোই অব্যাহত রেখেছে। নির্বাচন নিয়ে প্রশাসন ও সরকারি দলের যৌথ নৃশংস তাণ্ডব বিরোধী দল গণমাধ্যম যতই চেঁচামেচি করুক নির্বাচন কমিশনের উচ্চপদস্থ পদাধিকারীরা ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে নির্লজ্জের মতো বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনী সহিংসতা ও মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। ভোট সন্ত্রাসের অতিমাত্রার কারণ আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডারদের নির্বাচনী এলাকায় অবাধ বিচরণের সুযোগ দেয়া। যাদের অপকর্মে সরকার ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে বরাভয় দিচ্ছে। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার ও নির্বাচন কমিশন মিলে নির্বাচনকে আগামী প্রজন্মের কাছে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বানানোর অভিলাষ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যাতে বর্বর একদলীয় আওয়ামী সরকার চিরদিনের জন্য ক্ষমতায় থাকতে পারে।