আওয়ামীলীগের বর্তমান আমলে অনুষ্ঠিত ৬সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী পাশ করেও পদ হারানো মেয়রদের মধ্যে ইতোমধ্যে দুই জন মেয়রকে স্বপদে বহাল করতে উচ্চ আদালত আদেশ দিয়েছেন। প্রথমে রাজশাহী সিটি মেয়র মোছাদ্দেক হোসেন বুলবুুল ও আজ গাজীপুর সিটি মেয়র অধ্যাপক এম এ মন্নানকে স্বপদে বহালের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। ইতোপূর্বে তারা সরকারের আদেশে সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। এদের মধ্যে বুলবুল কারাগারে ও মান্নান জামিনে মুক্ত আছেন। অধ্যাপক মান্নানের বিরুদ্ধে ১৯টি ও বুলবুলের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা হয়। ৩০ মার্চ সুপ্রীম কোর্টের আপলি বিভাগ বুলবুলকে চূড়ান্তভাবে মেয়র পদে বহালের আদেশ দেয়। ১১ এপ্রিল গাজীপুর সিটি মেয়রকে অনুরুপ আদেশ দেয়া হল।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, কথিত নির্বাচনে ২০১৪ সালের ৫জানুয়ারী আওয়ামীলীগ পুনর্বহাল হয়। এরপর সিটিকরপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র হয়ে যাওয়ায় সরকার বেকায়দায় পড়ে যায়। পরবর্তি সময় সরকার বিভিন্ন অজুহাতে বিএনপির সকল মেয়রকে কারাগারে ঢুকিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করে। সম্প্রতি দুইজন মেয়রকে আদালত পুনর্বহালের আদেশ দেয়। তথ্য বিশ্লেষনে দেখা যায়, ধারাবাহিক ভাবে তিন মন্ত্রী দন্ডিত হওয়ার পর উচ্চ আদালত বিচারাধীন মামলার কারণে সরকারের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জনগনের ভোটে নির্বাচিত মেয়রদের পর্যায়ক্রমে পুনর্বহাল করছে। এতে সরকার খুশি হয়েছে বলা উচিত হবে না। কারণ চলমান ইউপি নির্বাচনে সরকার সহিংসতার মাধ্যমে তৃনমূল প্রতিনিধিও নিজের কব্জায় নিতে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়রদের পুনর্বহাল সরকারের চলমান দখল নীতির পরিপন্থী বলেই ধরে নেয়া যায়। তবে উচ্চ আদালত জনগনের রায়কে সম্মান দেখাচ্ছেন এটা সত্য। এটি উচ্চ আদালত সাংবিধানিক অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করছেন যথাযথভাবে এতে কোন সন্দেহ রইল না।
এমতাবস্থায়, সরকারের নির্বাহী আদেশে বাতিল করা সকল জনপ্রতিনিধিদের ফিরয়ে আনলে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এক ধাপ হবে তবে সরকারের জন্য এটি অশুভ ঈঙ্গিত তা পরিস্কার।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইন চীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম