বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিপজ্জনক পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের শরিক জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি বলেছেন এই অবস্থায় গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে না পারলে ভয়াবহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির তৈরি হতে পারে। শনিবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটশন মিলনায়তনে দলের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মঞ্জু বলেন, গণতন্ত্রের পথ হয়তো বাধাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তবে বিশাল জনগোষ্ঠির কাছে ও বুদ্ধিজীবীদের কাছে যখন এটা অসহনীয় হয়ে উঠবে তখন এটা বিপদজনক হয়ে পড়বে। বাম দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা অনেকেই দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠিকে বোকা মনে করি। তবে মনে রাখতে হবে ঢাকার মুষ্টিমেয় কিছু লোক দিয়ে পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণ করার পরিবেশ এখন আর নেই। যারা গণতন্ত্রের লেবাস পরে স্বৈরতন্ত্রের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করবে তাদেরকে ইতিহাস কখনও ক্ষমা করবে না। বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করে অন্য কোনও স্বপ্ন দেখে অবশ্যই এদেশে তাদের বিচার হবে। কাউকেই ইতিহাস কখনও ক্ষমা কওে না। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, পাকিস্তান এখনও আমাদের কাছে ক্ষমা চায়নি। তাদেরকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করতে হবে। তারা এখনও বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন ধরণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য এদেশের কতিপয় লোক পাকিস্তানকে ভালোবাসে। তারা যুক্তি দেখায় তারা তো মুসলমান। এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। আবার অপরদিকে যুদ্ধের সময় মা বোনদের ইজ্জত হরণের বিষয়ে তাদের ঘৃণা করে। তিনি বলেন, যাকে ঘৃণা করবো তাকে মনে প্রাণে ঘৃণা করবো। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া, জাসদ (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, গণ আজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস কে সিকদার প্রমুখ।